সড়ক যেখানে শেষ হয় একটি ব্রিজ সেখানে খুলে দেয় নতুন সম্ভাবনার দ্বার।আর এই সম্ভাবনার লক্ষ্য নিয়ে বান্দরবানের রুমা মুখ (পলিকাপাড়া) থেকে গ্যালেঙ্গ্যা ইউনিয়ন সংযোগ সড়ক উন্নয়ন চলছে।গালেঙ্গ্যা অংশে এখনো রাস্তা তৈরি হয়নি তবে রুমা সদরের অংশে ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৬ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।কিন্তু এই উন্নয়ন নিয়ে এলাকায় সমালোচকদের মাঝে চলছে টিকাটিপ্পনি।কিন্তু যেকারণে ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে তা প্রকাশ পেয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে।
রুমা ২নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈমং মারমা এই প্রসঙ্গে বলেছেন,রুমা পলিকাপাড়া থেকে গ্যালেঙ্গ্যা সংযোগ সড়কে ইতিমধ্যে একটি ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে।ব্রিজের অপর-অংশে একটি পাহাড় রয়েছে।পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পাহাড়টি না কেটে বিকল্প পথ নির্মিত হলে দুই ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনসহ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে এই সড়ক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,জেলার রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সঙ্গে গ্যালেঙ্গ্যা ইউনিয়নে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৪ কি.মিটার সংযোগ সড়ক উন্নয়নে হাত দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।কার্যকর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দুই ইউনিয়নের সংযোগ সড়কে ৬৬ মি. একটি ব্রীজের কাজ শুরু করে।বর্তমানে ব্রিজটি দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে।নির্মিত এই ব্রিজের পরে আরও ১০কি.মিটার রাস্তার অংশের কাজ উন্নয়ন করবে এলজিইডি।
স্থানীয়রা জানান,রুমা মুখ থেকে গ্যালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের কাঙ্খিত ব্রিজ ও সংযোগ সড়কের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলে দূরত্ব কমবে। এতে করে রুমার পলিকাপাড়া,খামারপাড়া,নাজিরেট, শ্যামাখাল,নাইতং,অর্জুন ত্রিপুরাপাড়া সহ নদীর অপর পাড়ের রিজুক,পান্তলা,সেপ্রু,কালা এবং গ্যালেঙ্গা বাজার ও ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন ঘটবে।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রুমা উপজেলার গ্যালেঙ্গ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈউসাই মারমা বলেন, রুমা সদর ইউপি থেকে কাজটি শুরু হয়েছে।এখনো গালেঙ্গ্যায় পৌছায়নি।দুই ইউনিয়নের মানুষ বর্তমানে নৌকায় চলাচল করে।১ ও ২নং ওয়ার্ড খুবই দুর্গম। সংযোগ সড়কটির কাজ শেষ হলে এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বহনসহ মানুষের জীবনমান পরিবর্তন ঘটবে। রুমা অংশে ব্রিজটি আগে নির্মিত না হলে রাস্তা নির্মাণে মালামাল বহন করা কষ্টকর হতো বলেও মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের রুমা উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহাম্মেদ বলেন, গালেংঙ্গা ইউনিয়নে যাওয়ার জন্য পলিকা পাড়ার উপর গার্ডার ব্রিজটির কাজ চলতি বছর সম্পন্ন করে ঠিকাদার আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।ব্রিজ শেষ হওয়ার পর আমরা রাস্তা নির্মানের কাজ ধরব।পাহাড়ী এলাকায় রাস্তা নির্মাণ করতে হলে ব্রিজ কালভার্ট এগুলো আগে নির্মান করতে হয়।তারপরই রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু করা যায়।
বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)র নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান বলেন,স্থানীয় প্রশাসন,জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্য কারিগরী কর্মকর্তাদের পরামর্শে রুমামুখ-গ্যালেঙ্গা সংযোগ সড়কে কাজ চলছে।ব্রিজের পর পাহাড় কাটতে হবেনা,ব্রিজের সামনে ১০ কিলোমিটার সড়ক হবে,আমরা এই অর্থ বছরে টেন্ডার করবো।বর্তমানে নির্মিত ব্রিজের অপরপ্রান্তে পাহাড় না কেটে বিকল্পভাবে রাস্তা নেওয়ার জন্য কাজ চলমান রয়েছে।