

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া আর্মি ক্যাম্পের পাশের সাঙ্গু নদীর চরে মাটিতে চাপা পড়া গলিত লাশটি বান্দরবানের রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়ায় পাহাড় ধসের ঘটনায় নিখোঁজ রুমা’র কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।প্রথমে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয় পরে পুলিশ উদ্ধার করলে লাশটি গৌতম নন্দীর বলে তার পরিবার সনাক্ত করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা সাঙ্গু নদীর চরে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায়।লাশটি মাটি চাপা পড়া অবস্থায় থাকলেও লাশটি কার সেই ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত না হলেও পরে পাহাড় ধসের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের লাশ সনাক্তের জন্য খবর দেওয়া হয়। পরে লাশটি গৌতম নন্দীর বলে সনাক্ত করে গৌতমের সন্তান তূর্য নন্দী ও শ্যালক দিগন্ত নন্দী।পাহাড় ধসের পর লাশটি রোয়াংছড়ির বেতছড়া খালে ভেসে এসে বেতছড়া আর্মি ক্যাম্পের পাশের সাঙ্গু নদীর চরে আটকে থাকে।গৌতম নন্দী’র শ্যালক দিগন্ত নন্দী বলেন, চট্টগ্রামের জামাল খান এলাকায় গৌতম নন্দী’র পরিবার বাস করলেও তাদের দুই সন্তান রয়েছে।ছেলে তূর্য নন্দী ইউএসটিসিতে এবং মেয়ে তুষি নন্দী চট্টগ্রামের খাস্তগির স্কুলের নবম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করছে।এতদিন গৌতমের কোন সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সবাই ভেঙ্গে পড়ে। আইনগত আনুষ্ঠানিকতা সেরে শুক্রবার গৌতমের লাশ নিজ বাড়িতে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।এই ব্যাপারে জেলার রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর আলী বলেন,লাশটি গৌতম নন্দীর বলে সনাক্ত করেছে তার পরিবার।গত সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাঙ্গুনদীতে ভাসমান অবস্থায় থাকা মুন্নি বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। মুন্নির লাশ বান্দরবানের সাঙ্গু নদী দিয়ে ভেসে বাঁশখালীর সাঙ্গু নদীতে চলে যায়।পরে স্বজনরা চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ সনাক্ত করে বান্দরবানে নিয়ে আসে।প্রসঙ্গত,গত রোববার সকালে বান্দরবান রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে দুইজন।এরা হলো সিংমেচিং,রুমা ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার রবিউল।