শান্তি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে


প্রকাশের সময় :১১ মার্চ, ২০১৭ ১:১৭ : পূর্বাহ্ণ 1557 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-গৌরবের ৫০ বছর পার করে দু’দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজন করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।শুক্রবার বিকাল ৪টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন,জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো.ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি।উল্লেখ্য,১৯৬৬ সালে শহরের তবলছড়িতে প্রতিষ্ঠিত রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির সরকারিকরণ হয় ১৯৭৪ সালে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি বলেন,শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন,তখনই পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একটি জাতীয় কমিটি করেন।সেই কমিটির বলিষ্ট একজন সদস্য ছিলাম আমি।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা,খাগড়াছড়ি ও ঢাকায় অনেক বৈঠক করি। অবশেষে ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে।শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া এটি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।শুক্রবার রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার।ফজলে রাব্বি মিয়া আরো বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন যে,ধর্ম যার যার রাষ্ট্র ও উৎসব সবার।শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছায় আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও সম্প্রীতি এসেছে।তার আন্তরিকতার ফলে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।আর এখন দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধশীল দেশ ও জাতি গঠনে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশবাসী সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাঙামাটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়টির সরকারিকরণ ঘোষণা করেছিলেন উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন,বঙ্গবন্ধু পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন।তার ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং প্রতি উপজেলায় একটি করে কলেজসহ স্কুলগুলো জাতীয়করণের আওতায় এনেছেন।তিনি বলেন,উন্নয়নে নারীদের প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি শিক্ষার জন্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ৬০ ভাগ কোটা সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন।নারীদের সুশিক্ষিত হয়ে দেশ গঠনের আহবান জানিয়ে ১৬ বছরের নিচে মেয়েদের হাতে মুঠোফোন না দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান ডেপুটি স্পিকার।জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় সংসদের স্থানীয় সদস্য ঊষাতন তালুকদার,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু,সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালকুদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ,পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিদোয়ান-উল হক।স্বাগত বক্তব্য রাখেন,উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ও বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সরিৎ কুমার চাকমা।অনুষ্ঠানে প্রায় বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রী,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত অতিথি,শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত অংশ নেন।এছাড়াও সকালে শহরের প্রধান সড়কে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।শোভাযাত্রাটি শহরের পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ভবনের সামনে থেকে বের করে বিদ্যালয়টির প্রাঙ্গণ গিয়ে শেষ করা হয়।আজ (শনিবার) সকালে সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।এদিকে অনুষ্ঠান সুষ্ঠু,সফল ও শান্তিশৃংখলাপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে এবং আমন্ত্রিত প্রাক্তন ছাত্রীদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা বা ঝামেলায় পড়তে না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ সর্বোচ্চ পদক্ষেপ জোরদার করে জেলা প্রশাসন ও বিদ্যালয় পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!