একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন,তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বহুমুখী সমস্যার সমাধান করে প্রধানমন্ত্রী তার সুযোগ্য নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এমন মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃতাজুল ইসলাম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ বানানো কখনোই সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি সফরে এসে তিন পার্বত্য জেলার ইউনিয়ন পরিষদ,উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বিশেষায়িত অঞ্চল,এখানে সমস্যা আগে ছিলো,সেগুলো কিছু সমাধান করা হয়েছে,আরো কিছু রয়ে গেছে,সমস্যা সামনে আরো আসতেও পারে।এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের সকলেই সেটা জানি এবং বিশ্বাস করি। এসব মেনে নিয়েই আমাদের সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।
দূর্গম পাহাড়ের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এখানকার তৃণমুল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো শক্তিশালী কিভাবে করা যায় সেই কাজ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।এছাড়া পাহাড়ের উপজেলাগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণে পূর্বনির্ধারিত বরাদ্ধ ৬ লাখ টাকা থেকে বাড়ানো,স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে গ্রাম আদালতকে অধিক কার্যকর করা, এখানকার দূর্গমতার বিষয়টি সামনে রেখে থোক বরাদ্ধ বাড়িয়ে দেওয়া,স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অর্ন্তভূক্ত করাসহ জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব বাসভবন নির্মাণে সহায়তাসহ পার্বত্যাঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে থোক বরাদ্ধ আরো বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে এসব বিষয় বাস্তবায়ন করা হবে বলেও মন্ত্রী তিন পার্বত্য জেলার জনপ্রতিনিধিদের আশ্বস্থ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপি, রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় তিন পার্বত্য জেলার তিনজন ইউপি চেয়ারম্যান, তিন উপজেলা চেয়ারম্যান,একজন পৌর মেয়র ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।