আসন্ন আগামী ৩০ ডিসেম্বর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে পার্বত্য তিনটি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন করা হবে। ভোট যাহাতে কারচুপি না হয় সেজন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে’ বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময়ে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী,নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ,চট্টগ্রামের ডিআইজি গোলাম ফারুক,তিন পার্বত্য জেলার সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডারগণ,রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ,খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম,বিজিবি সেক্টর কমান্ডার,পুলিশ সুপার,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী, প্রশাসনিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তরাসহ রাঙামাটির প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন,চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান।নির্বাচনীর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য অসত্য। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে।নির্বাচনে ছোটখাটো কিছু সংঘাত হয়ে থাকে।সেটা তেমন বড় কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।তিনি আরো বলেন,৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু,অবাধ,নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সবার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই আমরা।এ লক্ষ্যে নির্বাচনী ও আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি প্রার্থী,রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সর্বমহলের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির অন্যায় প্রভাবে প্রভাবিত না হওয়ার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, রাঙামাটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।নির্বাচন নিরাপদের জন্য নির্বাচনী প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হবে।এখানে কোন প্রকার ঝুঁকি নেই।গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ভাল আছে, সুন্দর আছে।এবারের নির্বাচনী এলাকায় যে নির্বাচন হবে সেগুলোতে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্ভব হবে এবং মানুষ নিরাপদে ভোট দিতে যাবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,মোট ২৬ উপজেলা নিয়ে পৃথক তিনটি পার্বত্য সংসদীয় আসন ২৯৮-খাগড়াছড়ি,২৯৯-রাঙামাটি ও ৩০০- বান্দরবান। আয়তনের দিক দিয়ে এ তিনটি আসন প্রতিটি বৃহত্তর এলাকা।প্রত্যেক আসনে দুর্গম এলাকায় রয়েছে ভোটকেন্দ্র।এসব কেন্দ্রকে দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি আমরা।তিনটি আসনে ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখের অধিক।তারা যাতে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে অবাধে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে,সেজন্য নির্বাচনের দিন পর্যন্ত প্রতিটি এলাকায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত থাকবে।তিনটি পার্বত্য আসনের প্রত্যেক কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।ভোটারদের নিরাপত্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনের দিন প্রত্যেক কেন্দ্রে সেনাবািহনীর পর্যাপ্ত সদস্যের উপস্থিতি থাকবে।পাশাপাশি প্রশাসনিক ও নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ পুলিশ,বিজিবি,আনসারবাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে।এ ছাড়া জনবল ও নির্বাচনী মালামাল আনা-নেয়ার কাজে দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টার ব্যবহারে সেনাাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।সেনাবাহিনীর সহায়তা ছাড়া ওইসব দুর্গম কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্ভব হবে না।কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত জেলার নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু,অবাধ,নিরপেক্ষ, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর তিনটি পার্বত্য সংসদীয় আসনেও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার চাই।সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন,পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।এবার ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কেন্দ্রে কেউ ভোট ডাকাতির সুযোগ পাবে না।নির্বাচনের দিন মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু থাকবে।স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে অনেক অভাব, অভিযোগ, অনুযোগ, সমস্যা দূর হয়েছে।পার্বত্য শান্তিচুক্তির ৭২ ধারার মধ্যে ৪৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে।বর্তমানে পাহাড়ের পরিস্থিতি ভালো।পরিস্থিতি স্বাভাবিক,নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেনাবাহিনী।চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ ডিসেম্বর সুষ্ঠু,অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত আমরা।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.