সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূরণ করেছে দেশগঠন এবং শান্তি রক্ষার কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।বুধবার দুপুর হতে হালকা যানবহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক।আর এটা সম্ভব হয়েছে সেনা সদস্যদের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রম এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়।রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি শালবন এলাকায় পাহাড় কেটে বিকল্প সড়ক তৈরি করে সড়কের সংযোগ পুনঃস্থাপন করে সেনাবাহিনী।দীর্ঘ ৭ দিন সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে।সড়কটি চালু করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার,যোগাযোগ সচিব,রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার,কমান্ডার এসডব্লিউ,চট্রগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার,রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।উল্লেখ্য,চট্টগ্রাম-রাঙামাটি রোডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাতছড়ি এলাকার ১০০ মিটার সড়ক।গত ১৮ জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান রাঙামাটির দুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে ৩ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কটি হালকা যান চলচলের জন্য খুলে দেয়ার প্রতিশ্রতি দেন।সে অনুযায়ী সড়কটি সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ায় পাহাড় কেটে বিকল্প সড়ক তৈরি করে সেনাবাহিনী।আজ এই সড়ক চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে জনগণকে দেওয়া তাদের কথা রাখলো সেনাবাহিনী।রাঙামাটি জেলায় কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে এবং একের পর এক পাহাড় ধসের ঘটনায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত ও অচল হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে জনজীবনকে যখন দুর্বিষহ করে তোলে তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন সহ অন্য সদস্যরা।যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পুনর্বহাল এবং রাস্তা-ঘাট পুনসংস্কারের তিন পার্বত্য জেলায় ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের প্রায় তিন শতাধিক সদস্য বিপুল সংখ্যক ভারী যন্ত্রপাতি সহকারে নিরলসভাবেক কাজ করে যাচ্ছেন।সেনাবাহিনীর এ সহায়তা কার্যক্রমকে নাম দেয়া হয়েছে ‘সম্পৃক্ত ও নিবেদিত’।বান্দরবান জেলার রুমা এবং রাঙামাটির ঘাগড়া এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়নের ২৩৩ সদস্য ১০ ডাম্পার এক হুইল লোডার,৫ এক্সেভেটর,১ হুইল ডোজার এবং একটি লোডার দিয়ে সংস্কার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।আগামী এক মাসের মধ্যে ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন।এছাড়া রুমা বান্দরবান রাস্তায় যানবাহন চলাচল সচল করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.