সিএইচটি টাইমস ডেস্কঃ-এবার রাঙামাটিতে একনারী যাত্রীকে গাড়িতে রাত কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইউনিক পরিবহনের চালক ও হেলপার। পরিবহন খাতের এক শ্রেণীর বদমাইশদের হাতে অব্যাহতভাবে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সারাদেশে যখন ব্যাপক সমালোচনা চলছে ঠিক এমনই সময়ে পার্বত্য রাঙামাটি জেলা শহরে আবারো এই ধরনের ঘটনার অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হয়েছেন রাঙামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির এক নারী সদস্য।পেশায় এ্যাডভোকেট ভূক্তভোগি ঔই নারী জানান,পেশাগত কারনে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। চলতি মাসের গত ৬ই মে রাজধানী ঢাকা থেকে ইউনিক পরিবহনের বাস (নাম্বার-৯১১০) সন্ধ্যা ৭.৪০ মিনিটে ছেড়ে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে আসে।আমিও আমার অপর সহকর্মী সেই গাড়ির যাত্রী ছিলাম। পরের দিন হরতাল তাই দ্রুতগতিতে উক্ত গাড়িটি রাত আড়াইটার সময় রাঙামাটিতে চলে আসে।
এসময় শহরের ভেদভেদীতে আমার নারী সহকর্মীটি নেমে যায়।পরে শহরের পুরাতান বাস ষ্টেশন দোয়েল চত্তর এলাকায় আমাকে নেমে যেতে বলে গাড়ির ড্রাইভার জাহাঙ্গীর ও সুপারভাইজার বাবলু।
এসময় আমি তাদেরকে বললাম,ভাই আমি একজন নারী এতোরাতে আমি তবলছড়িতে কিভাবে যাবো। আর আপনারাতো তবলছড়িতে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার কথা।আমার এমন কথার জবাবে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ন ভাষার ব্যবহার করে আমার সাথে।এক পর্যায়ে তারা আমাকে গাড়িতে রাত কাটানোর আহবান জানায়।এমতাবস্থায় আমি একজন শিক্ষিত নারী হিসেবে খুবই বিব্রতবোধ করে রাত আড়াইটার সময় রাস্তায়ই নেমে যাই।পেশায় আইনজীবি ঔই নারী জানান,গত দুইদির চেষ্ঠার পর আমি সেই গাড়ির ড্রাইভার ও সুপারভাইজার এর নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করি।এরপর আমি ইউনিক কর্তৃপক্ষের জিএম জনাব হক সাহেবকে ঘটনাটি জানালে তিনি আমাকে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। পরে আমি আমার আইনজীবি সমিতির পরামর্শে একটি লিখিত অভিযোগ রাঙামাটি ইন্দ্রপূরী সিনেমা হলের সামনের কাউন্টারে জমা দিয়ে এসেছি।
ঐ যাত্রী বলেন,আমি কল্পনাই করতে পারিনি রাঙামাটি শহরের মধ্যেই রাতের বেলায় ইউনিক পরিবহনের মতো একটি যাত্রীবাহি বাসের মধ্যে এই ধরনের ঘটনার শিকার হবো।এতোটা নিন্মরুচির মানুষগুলো নামকরা এসব পরিবহণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে কিভাবে চাকুরি পায়।ভূক্তভোগী নার এ্যাডভোকেট বলেন,নামকরা এসব গাড়িতে যদি আমাদের মতো নারীরা নিরাপদ না থাকে তাহলে নারীদের নিরাপদ থাকার আর কোনো উপায় কি আদৌ রাষ্ট্রের আছে???এদিকে ইউনিক পরিবহনের জিএম পরিচয়দানকীর জনাব হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,ভাই আমি অভিযোগটি মুঠোফোনে পেয়েছি। রাঙামাটি আইনজীবি সমিতির নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলেছি। “একজন নারী যাত্রী আমার মা” এমন কথা বলে,জিএম বলেন,আমি অলরেডি সেই চালক ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
এদিকে এই ধরনের একটি ঘটনায় নিজেরা অত্যন্ত বিব্রতবোধ করছেন জানিয়ে উক্ত নারী আইনজীবি ও তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, রাঙামাটি একটি অন্যতম পর্যটন এলাকা।এখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা হয়েও আজ এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু উন্নত যাত্রী সেবার নিশ্চয়তা দিয়ে রাঙামাটিতে চলাচলকারি যাত্রী সেবা বাসগুলোতে অত্রাঞ্চলে আগত পর্যটকরা থেকে শুরু হরে স্থানীয় নারীরা কতটুকু নিরাপদ সেটি খতিয়ে দেখা দরকার।