রাজাকারের সন্তানরা ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি পাবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাহাপাড়া এলাকায় মার্কাস রোডের পাশে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিক হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকা তৈরির আইন পার্লামেন্টে জমা দেওয়া আছে। কভিডের জন্য সংসদ দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার কারণে সে আইনটি এখনও পাশ হয়নি।
আমরা আশা করি, পরবর্তী অধিবেশনে পাশ হলেই-রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, তারা ব্যবসা বাণিজ্য বা অন্য কোন কাজ করতে পারবে। যেহেতু তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়নি- শুধু একটি সুযোগ তারা ভোগ করতে পারবে না- সরকারী চাকরি পাবে না।
গাজীপুর ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো: আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম, গণপূর্ত বিভাগরে নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রীনা পারভীন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেন ঢালী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, দেশ স্বাধীন করা যেমন কঠিন কাজ তেমনি দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করাও কঠিন। আমরা ১৯৭১ সালে সংগ্রাম করে দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করার মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু পরাজিত শত্রু ও তাদের দোসররা বসে নেই, তারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। দেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দিতে চায়।
এ পরাজিত শত্রুদের দমন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার ফলেই গাজীপুরে এ ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে। এজন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
পরে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
গাজীপুর ডায়াবেটিকস সমিতির উদ্যোগে ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে হচ্ছে ৬ তলা বিশিষ্ট এই হাসপাতাল। এ জেলায় ৬০ হাজারের বেশি ডায়াবেটিকস রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ।
গাজীপুর জেলা ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ৫০ শয্যার ৬ তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ২২ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে।