শিরোনাম: নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ তম বর্ষপূতি চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরির ১ হোতা পুলিশী তৎপরতায় আটক উন্নত,সমৃদ্ধ,বৈষম্যহীন ও জবাবদিহিতামূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মতবিনিময় জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো ক্রীড়া সংগঠকরা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বান্দরবান সেনা জোন এর উপহারের বই পেলো মেধাবী শিক্ষার্থীরা

প্রথম ধাপের তালিকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ২ রাজাকার


সিএইচটি টাইমস রিপোর্ট প্রকাশের সময় :১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১১:৩৯ : অপরাহ্ণ 1349 Views

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রথমধাপের তালিকায় নাম রয়েছে বান্দরবান বোমাং সার্কেলের ১৫তম রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরী এবং রাঙামাটির চাকমা সার্কেলের ৫০তম রাজা ত্রিদিব রায়।তবে তৎকালীন তালিকাভুক্তদের মধ্যে প্রথমধাপে শুধুমাত্র ২ জন রাজাকারের নাম প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

জানা গেছে, রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরী ১৯১৪ সালের ১ আগস্ট জন্ম গ্রহণ করেন।১৯৯৮ সালে তিনি বোমাং রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।২০১২ সালের ৮ আগস্ট তিনি ৯৮ বছর বয়সে নিজ বাড়ি বান্দরবানের মধ্যম পাড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর বোমাং রাজার দায়িত্ব পালন করেন।

অপরদিকে রাজা ত্রিদিব রায় ১৯৩৩ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালের ২ মে তিনি রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ শহরে ৭৯ বছর বয়সে ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর চাকমা রাজার দায়িত্ব পালন করেন।

বান্দরবানের সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াব বলেন, বান্দরবান জেলায় তৎকালীণ গেজেটভূক্ত ২৫ জন তালিকাভুক্ত রাজাকার রয়েছে। প্রথমধাপে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকায় তাদের মধ্যে শুধুমাত্র রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরীর নাম প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরীসহ আরও অনেকে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। অন্যদের নামও ধাপে ধাপে প্রকাশিত হবে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাজাকারের তালিকার কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।

আবদুল ওয়াব বলেন, ওই তালিকায় বান্দরবানের উচ্চ পদস্থ দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনেকের আত্মীয়-স্বজনের নামও রয়েছে। আমরা চাই দেশবাসীর স্বার্থে সব রাজাকারের নাম ঘোষণা করা হোক। অন্যথায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা শান্তি পাবে না।

রাঙামাটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজা ত্রিদিব রায় দেশের বিরুদ্ধে ছিল। শত্রু পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন রাজা ত্রিদিব রায়সহ রাঙামাটির আরও অনেকে। রাজাকারের তৎকালীন একটি তালিকাও রয়েছে। তবে সংখ্যাটি তাৎক্ষণিক মনে পড়ছে না। যুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করা রাজাকারদের সবার নাম প্রকাশ করা দরকার।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!