শিরোনাম: নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ তম বর্ষপূতি চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরির ১ হোতা পুলিশী তৎপরতায় আটক উন্নত,সমৃদ্ধ,বৈষম্যহীন ও জবাবদিহিতামূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মতবিনিময় জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো ক্রীড়া সংগঠকরা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বান্দরবান সেনা জোন এর উপহারের বই পেলো মেধাবী শিক্ষার্থীরা

পাহাড়ি ৩-জেলাতে যেভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে


প্রকাশের সময় :২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ৫:৫৭ : অপরাহ্ণ 766 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-চাকমাদের অপ্রপ্রচার দেশে ও দেশের বাইরে।৩-পাবর্ত্য জেলাকে “বাঙালিমুক্ত” করতে চায় উগ্র উপজাতিরা।এ জন্য তারা ৩-টা উগ্র উপজাতি সংগঠন পরিচালনা করছে,যাদের কাজ বাঙালি ও নীরিহ পাহাড়িদের থেকে চাঁদাবাজি এবং সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত দরিদ্র বাঙালিদের তাদের জমিতে চাষাবাদ করতে যেতে না দেয়া।মূলত “চাকমা” পরিচালিত এ ৩টা উগ্র সংগঠন হলো UPDF,JSS (সন্তু লারমা) JSS (সংস্কার)।সাধারণ শান্তিকামী পাহাড়িদের হাতে রাখা ও তাদের সমর্থন আদায়ের জন্য এই ৩-উপজাতি সন্ত্রাসি গ্রুপ পরিকল্পিত “জুম্ম ল্যান্ড” “স্বায়ত্বশাসন” ইত্যাদি নানাবিধ কথার মুলা দেখাচ্ছে উপজাতিদের সামনে।তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের সেনাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়,সেনারা যখন তাদের প্রতিরোধ করে,তখন তা সেনাদের “আদিবাসিদের প্রতি জুলুম” হিসেবে অপপ্রচারের নানাবিধ পরিকল্পনা করে।যার অধিকাংশই মিথ্যাচার।যারা সাজেক গিয়েছেন তারা দেখেছেন যে,পর্যটকদের সবার গাড়িকে “কর্ডন” করে আমাদের সেনারা নিয়ে যায় সাজেক ও ফিরিয়ে আনে কর্ডন করে।এটা মূলত ঐসব উপজাতি সন্ত্রাসিদের কারণে।বাঙালি সেনারা কখনো পাঞ্জাবি-পাঠান নয়।বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নয় টিক্কা বা ইয়াহিয়া খান। সুতরাং আমাদের সেনাদের পাহাড়ি মেয়েদের ধর্ষণের কথা,উপজাতিদের অত্যচারের কথা আসলে UPDF,JSS (সন্তু লারমা) ও JSS (সংস্কার) নামক উগ্র চাকমাদের মিথ্যাচার আর অপপ্রচার।যা যাচাই না করে,না বুঝে অনেক বাঙালি এটাকে সত্য মনে করে।বুঝতে হবে পুরো ব্যাপারটা।অথচ রোহিঙ্গাদের প্রতি বাঙালি সেনাদের আচরণ,আফ্রিকাতে বাঙালি সেনাদের আচরণ,পাহাড়ধ্স সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাহাড়ে আমাদের সেনাদের সেবামূলক আচরণে প্রকাশ করে “বাংলাদেশ সেনারা প্রকৃতপক্ষে কতটা মানবিক”।আসলে UPDF,JSS (সন্তু লারমা) JSS (সংস্কার) নামক উগ্র ৩টা সংগঠন পুরো পাহাড়ি জেলাকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে কে কোথায় চাঁদাবাজি করবে,কে কোথায় কখন বাঙালিদের প্রতি অপারেশন চালাবে।মূলত তাদের পাছা রসুনের মত একই।তাদের প্রধাান দাবি “পাহাড় থেকে বাঙালি সেনা” প্রত্যাহার করতে হবে।যেন পুরো পাহাড়ি ৩-জেলাতে UPDF,JSS-গংরা বাঙালিদের প্রতি পুরো মাত্রায় অত্যাচার চালাতে পারে,বাঙালিদের জমি পুরো দখল করতে পারে এবং পাহাড়ে নিজেদের “জুম্মল্যান্ডের পতাকা” ওড়াতে পারে।এদের অস্ত্র ও অন্যবিধ সাপোর্ট করে বার্মিজ বাহিনি,যারা এখন রোহিঙ্গা তাড়াচ্ছে বার্মা থেকে।রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বার্মিজদের বানানো গল্পও অনেকটাই এমনই মিথ্যা।এটা বার্মিজরা করছে বা করেছে রোহিঙ্গাদের পরিকল্পিতভাবে তাড়ানোর ইস্যু বানানোর জন্যে।যেমন বার্মাতে আবিস্কৃত ৩টা গণকবর বার্মিিজ সেনারা বলছে,হিন্দুদের এবং তা নাকি করেছে মুসলিম রোহিঙ্গারা।কেন বার্মিজ সেনারা রোহিঙ্গাদের বদনাম করার জন্য তা নিজেরা করতে পারেনা?ঐ গণকবর হিন্দু রোহিঙ্গাদের না হয়ে মুসলিম রোহিঙ্গাদের হতে পারেনা? কারণ মৃতরা কি বলতে পারে তারা হিন্দু নাকি মুসলিম ছিল কিংবা কে তাদের হত্যা করেছে?বার্মিজদের মিথ্যাচার,হত্যা ও অত্যাচারে যৌক্তিকভাবে মনে হতে পারে,ঐ হত্যাযজ্ঞ (হিন্দু হোক কিংবা মুসলমান) বার্মিজ সেনারা নিজেরাই করেছে,যাতে তা অপ্রচার হিসেবে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়। বিশ্বকে দেখানো যায়।রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের দিকে তাড়ানোর যুক্তি বানানো যায়। যদিও তাদের এসব গল্পে বিশ্বের কোন দেশ বা জাতিই বলছে না,রোহিঙ্গাদের তাড়ানো ঠিক আছে,কেবল আমাদের পাহাড়ে বসবাসরত কিছু উপজাতি চাকমা ছাড়া।কিছু চাকমা উপজাতি ও কিছু বাঙালি বৌদ্ধ মনে করে,রোহিঙ্গাদের তাড়ানো ঠিক আছে।
মূল কথা,বাঙালিরা কখনো বলছে না যে,পাহাড় থেকে উপজাতিদের চলে যেতে হবে।কিন্তু উপজাতি সন্ত্রাসিরা বলছে,পাহাড় থেকে বাঙালিদের চলে যেতে হবে।উপজাতিদের এ চিন্তন পাল্টাতে হবে।তা না হলে পাহাড়ে যতদিন UPDF,JSS (সন্তু লারমা) JSS (সংস্কার) নামক সন্ত্রাসি অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ গ্রুপ থাকবে,ততদিন বাঙালিদের জান-মাল রক্ষার্থে সেনাদের থাকতেই হবে। আর উগ্র সন্ত্রাসি অস্ত্রধারীরা বাঙালি বসতির উপর আক্রমন চালালে,সেনাদের প্রতি আক্রমন চালালে,সেনাদের তা প্রতিরোধ করা অন্যতম পবিত্র দায়িত্ব।আমাদের সেনারা অত্যাচারী না হলেও কাপুরুষতো নয়!আবার বলি পাহাড়+সমতল পুরোটাই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের।উপজাতি বাঙালি সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।পাহাড়ে যেমন উপজাতিদের বসবাসের পরিপূর্ণ অধিকার আছে,তেমনি পাহাড়ে বসবাসের অধিকার আছে বাঙালিদেরও।কেবল উপজাতি বাঙালি মিলেমিশে বসবাস করলেই এ সমস্যার সমাধান হবে।এবং শান্তিপ্রিয় উপজাতি ও বাঙালিরা সেটাই চায় কিন্তু তা চায়না উপরে বর্ণিত ৩টা উগ্র উপজাতি সংগঠন।কারণ তাদের চিন্তাধারা হচ্ছে পাহাড়ে চাঁদাবাজি করে চলা।আর যারা এ চিন্তনের বাইরে,তাদের কখনো বাংলাদেশি সুনাগরিক মনে করবো না আমি।তারা ফেসবুকে আমার বন্ধু থাকুক তাও চাইবো না আমি।সুতরাং “জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো”!(((লিখেছেন:-ড.লজিক্যাল বাঙালি,ইস্টিশন.কম)))

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!