প্রতিদিন সংবাদপত্রে খুললেই বিশ্বের যে চিত্রটা আমরা পাই তা হল সর্বব্যাপী নারীকে অবদমন, অত্যাচার ,হত্যা আরও কত কি? কিন্তু আমরা মনে রাখি না, একজন নারী কখনো মা, কখনো বোন,কখনো মেয়ে, কখনো বা স্ত্রী। একজন নারীর অসম্মান মানে মা, বোন কিংবা স্ত্রীর অসম্মান। নারী নির্যাতনের মাঝে বিশেষ করে যৌতুকের দায়ে নারী নির্যাতন ও গৃহকর্মী নির্যাতনের খবর। এছাড়াও গ্রাম-গঞ্জের হাজারো নারী নির্যাতনের খবর আড়ালেই রয়ে যায়। নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির বিধান করা অত্যন্ত জরুরি। নারীদের সুরক্ষার ব্যাপারে সকল সচেতন নাগরিককেও হতে হবে সোচ্চার। সকল ক্ষেত্রেই নারী হোক নিরাপদ ও সম্মানিত।
আমরা বলি আমরা স্বাধীন , কিন্তু কিভাবে আমরা স্বাধীন ? কোন বৃত্তিতে ? যেখানে নারী ও শিশুর স্বাধীনতা নেই সেখানে কিভাবে আমরা স্বাধীন এই প্রশ্নটি আমার বিবেককে বার বার প্রশ্ন করছে?ছোট থেকে শুণে আসছি নারীবাদের কথা, নারী আন্দোলনের কথা,নারী মুক্তির কথা কিন্তু আজ দেখছি নারী মুক্তি কি হয়েছে?নারী কি স্বাধীনতা পেয়েছে?এটুকু পেয়েছে নাকি অধিকার জন্মের আগে মেয়ে বুঝে গেলে ভ্রুণহত্যা , পণপ্রথার জন্য নারীকে হত্যা, বউ পেটানো আরো কত কি যা দেখলে, শুণলে, পড়লে চুখে জল এসে যায়। হে পাষান হৃদয়ের মানুষ তোমাদের বিবেক কি এত নিষ্টুর, যে মেয়ে তোমাকে জন্ম দিয়েছে, এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে তুমি তাকে মারছো।
প্রতিদিন সংবাদপত্রে পড়ি তিন/চারটি নারী নির্যাতনের ঘটনা , সত্যি আমি অবাক আর কত নারীর মৃত্যুর পর এসমাজ বুঝবে নারীও মানুষ। আজ সমাজের রন্ধে রন্ধে গড়ে উঠেছে নারী নির্যাতন । বাস্তব জীবনে আমার অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান সমাজের কিছু কুসংস্তার দেখে প্রশ্ন জাগে ,আমরা কি নারী অপরাধ সমস্যাকে সমধান দিতে বিশ্বমানবতাকে একটি নতুন রুপ দেওয়ার জন্য নতুনত্ববাদকে গ্রহন করব? না ,নারীর সাথে পশু সুলভ আচরন করব।
আজও আমার প্রিয় মাতৃভূমি ভারতবর্ষে রোজই চলছে নারী নির্যাতন মধ্যযুগীয় কায়দায়। তার মাঝে মধ্যপ্রদেশ ,পশ্চিমবঙ্গ বিহার , উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশী নারী নির্যাতিত হয়। আমি ভাবতে পারি না যে মানুষ কি ভাবে একজন নারীকে নির্যাতন করে, তাদের কি একটিবার মনে হয় না যাকে আমি নির্যাতন করছি সে ওতো আমার বোন বা আমার মায়ের মত তো একজন নারী ।আরেকটি বিষয় হল, নারী সংক্রান্ত অপরাধের মধ্যে একটি বড় ধরণের অপরাধ সংগঠিত হয় মহিলাদের মদতেই। যেমন একটা মেয়ে তার স্বামী গৃহে আসার পর শাশুড়ীর কাছে যখন নির্যাতিত হন কিংবা কোন শাশুড়ী কোনও বউয়ের কাছে নির্যাতিত হন, এটাও কিন্তু কম বড় অপরাধ নয়। আর এই অপরাধটি বর্তমানে বাড়ছে। আর সংবাদপত্র খুললেই দেখা যায় এধরণের অপরাধ । আর এটার জন্য কত নারীর মৃত্যু যে হয়। আমার মনে প্রশ্ন জাগে, একজন নারী হয়ে কেন আরেকজন নারীকে নির্যাতন. করতে তারা দ্বিধাবোধ করে না। আজ নারী সমাজ লাঞ্চিত, নির্যাতিত, প্রতারিত, ধর্ষিতের কবলে ।
পরিশেষে বলি , পুরুষ এবং নারী একে অপরের পরিপূরক। তাদের মাঝে অংশীদারিত্ব তাকতে হবে। দাসত্ব কিংবা অবহেলা নয়। নারীসমস্যা সম্পর্কে আমাদের চিন্তা, আমাদের উদ্দেশ্য, আমাদের অণুভূতি এবং আমাদের জীবনধারণে উন্নয়ন আনা এবং সামাজিক ভাবে নারীদের স্হান সর্বাগ্রে করা, আমাদের কুসংস্হারমুক্ত বিবেক গঠন করা জরজরি।তা হলে নারী অপরাধ সমাজ থেকে কমবে। নইলে সমাজে নারীর অবস্হা আরো করুন হবে।নর-নারী একে অন্যের ভূষন। তাই নজরুলের ভাষায় ফুঠে উঠছে—-
এবিশ্বে যা কিছু
মহান চিরকল্যানকর
অর্ধেক করিয়াছে নারী
অর্ধেক নর।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.