আমরা প্রত্যেকেই সংসারে থাকি। যেকোন প্রয়োজনে আমি বাসার বাহিরে যাচ্ছি, যেতে হচ্ছে। আমার খুব, খুব, খুবই কাছের প্রিয়জন ছেলে, মেয়ে, বউ, মা বাবা। তাদেরকে আগে নিরাপদ করি। তাদেরকে হেফাজত করি, তাদেরকে বাহিরে যেতে নিষেধ করি। জন জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করি, বাসায় রাখি। যেকোন ভাবেই বাহিরের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখি।
টিচার, হুজুর, কাজের লোক, ড্রাইভার, আত্মীয় স্বজন থেকে দূরে রাখি। এটা আমাদের পক্ষে খুবই সম্ভব। এভাবে যদি আমি আমার উপর নির্ভরশীল মানুষকে হেফাজত করতে পারি, তবে মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ নিরাপদ হয়ে যাবে।
হিসাবটা খুবই সহজ, আমাদের দেশে প্রতিজন উপার্জনশীলের উপর নির্ভরশীল কম করে হলেও গড়ে ৩ জন।
এবার আসি আমি কিভাবে চলব। কাজে বের হওয়ার সময় বিদায় নিয়ে যাব স্বাভাবিক ভাবে। ফিরে এসে আবেগে দৌড়ে বাচ্চা কাচ্চা (সন্তানদের) জড়িয়ে ধরে আদর শুরু করে দিব না। নিজে সম্পূর্ণ ভাবে পরিস্কার না হয়ে তাদের কাছে যাব না। যথা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখব।
কারন আমি যে আজ করোনা ভাইরাস মুক্ত তার পরীক্ষা তো ঘরে সম্ভব না। তাই বাহির থেকে ভাইরাস নিয়ে আসলাম না, তার গ্যারান্টি কি। এভাবে থাকা বেশ কঠিন, তবে অসম্ভব না। প্রিয়জনকে বাঁচিয়ে রাখতে এর চেয়ে ভাল উপায় এখন আর নাই । সময় ফুরিয়ে গেছে।
এভাবে আমার চলাচলটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই আমার/আপনার পরিবার নিরাপদ। আমি শুরু করলাম। আপনি করছেন তো ?
বউ বাচ্চার আদর সোহাগ বেঁচে থাকলে মাস দুয়েক পরেও পাওয়া যাবে। চলে গেলে সব শেষ। আসুন আমরা চেষ্টা করি। শুরু করি এখনি। দুই-তৃতীয়াংশ দেশবাসীকে সহজে নিরাপদ রাখি। আর বাকী একতৃতীয়াংশ আমরা যাদের বাহিরে যেতেই হবে,তারা সাবধানে চলে বিপদ মুক্ত থাকি।
ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হবই ।।।