বান্দরবান অফিসঃ-বন্দি অবস্থায় প্রথম ঈদ ১৯৭১ এ আর আজও স্বাধীন বাংলাদেশে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ গণতন্ত্রের মা’র ঈদ!
জুলাই ২, ১৯৭১ — বেগম জিয়া পাকহানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হন। তাঁর অপরাধ ছিল তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তলাল সেই বছর নভেম্বর ২০, ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সেই সময় তিনি তাঁর দুই শিশুসন্তান পিনো ও কোকোসহ বন্দি অবস্থায় থাকেন। গৌরবময় ৭১ এ প্রথমবারের মত ঈদ বন্দি অবস্থায় পালন করেন তিনি। বাংলাদেশের জন্ম সংগ্রামে এইভাবেই জড়িয়ে যান ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের জীবন্ত কিংবদন্তি (Living Legend) গণতন্ত্রের ‘মা’ বেগম খালেদা জিয়া।
ষড়যন্ত্রমূলক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁকে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোড়ের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগার তথা হানাবাড়িতে কারাবন্দি করে রেখেছে ম্যান্ডেটবিহীন সরকার। এই ধরণের মামলায় সবাই জামিন পেলেও গণতন্ত্রের পূণরূদ্ধারের আপোষহীন দেশমাতা বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে ঘটেছে বিপরীত।
চক্রান্তমূলক ৩৪টি মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। এতে ঈদুল ফিতরের পর এবার ঈদুল আজহাতেও তাঁকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।
এর আগে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে খালেদা জিয়াকে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুইটি ঈদ কারাগারে কাটাতে হয়েছিল।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় – ১৯৭১ এর নভেম্বর ২০ তারিখে ঈদুল ফিতর আসে। সেইসময় দুইপুত্রসহ পাকহানাদার বাহিনীর হাতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি থাকেন বেগম জিয়া।
আর আজও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার স্বীকারে নির্জন কারাগারে একাকী ঈদ কাঁটালেন ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়া।
কিংবদন্তি, ওরা মুছতে চায় তোমার কীর্তি,
মন চাদরে গাঁথি রেখেছি তাই তোমার স্মৃতি!
গণতন্ত্রের রন্ধ্রেরন্ধ্রে ধরেছে ঘুণ;
লাশ খুঁজে শকুন, যে তোমায় করেছে খুন!
দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নে দুর্বিষহ দুর্গতি,
সম্প্রতি তাই তোমার প্রতি বেড়েছে সম্প্রীতি!
তোমার দুনয়নের একনয়ন আরাফাত রহমান,
সয়ে গেছে কত নিপীড়ন নির্যাতন অপমান!
তারেক রহমান, তোমার নম্রছেলে সৌম্যস্বভাব,
নির্বাসনে ধুকে মরে, অনুভবে মায়ের অভাব!
তোমার স্মৃতিভরা বাড়ি, গুড়িয়ে দেয় তারা,
বীরোত্তমের বউ ভাড়াটিয়া গৃহহার!
আমায় ফাঁদেফেলে মিথ্যে মামলায় বেঁধেছে জেলে,
তখনও জেলে ছিলেম, তুমি যখন যুদ্ধে গেলে!
কেয়ার করি না জেল, ইতিহাস সাক্ষী ফেরাউনের পরিণতি,
মন চাদরে গাঁথি, রেখেছি তোমার স্মৃতি, সেনাপতি।
স্বাধীন বাংলাদেশের পরাধীনতার শৃঙ্খেলে আবদ্ধ কিংবদন্তির এই ‘জীবন্ত আগুন’ আজ তার দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরিত্যক্ত নাজিম উদ্দিন রোড়ের সেই হানাবাড়ি থেকে।
“ঈদ মোবারক”— খালেদা জিয়া।
জাহিদ এফ সরদার সাদী, বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিএনপির বিশেষ দূত।