বান্দরবান অফিসঃ-পাবনার সাংবাদিক সুর্বণা নদী ওরফে শম্পা হত্যার ঘটনায় তার সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক সমকালকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে পাবনার অনলাইন পোর্টাল দৈনিক জাগ্রত বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণাকে জেলা শহরের মজুমদারপাড়ায় তার ভাড়া বাসায় গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
ওই ঘটনার পর সাত থেকে আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন নিহতের মা মর্জিনা খাতুন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে এই হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন পাবনার কর্মরত সাংবাদিকরা।
বুধবার দুপুরে এ সমাবেশে বক্তারা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যকারীদের গ্রেফতার দাবি করেন। এ সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে বলে সমাবেশ থেকে জানানো হয়।
পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন- পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, সাবেক সম্পাদক এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, আনন্দ টিভির বার্তা সম্পাদক আফজাল হোসেন, পাবনা টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদসহ অনেকে।
ওসি আবুল হোসেন জানান, নিহতের সাবেক স্বামী রাজিবুল ইসলাম রাজিব এবং শ্বশুর আবুল হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে নিহতের মা মর্জিনা মামলা করেন।
তিনি জানান, মামলা গ্রহণের পর পুলিশ শহরের শিমলা ডায়গনেস্টিক সেন্টার থেকে ইড্রাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
রাজিব ছিলেন সুবর্ণার দ্বিতীয় স্বামী। সুবর্ণা তার প্রথম পক্ষের মেয়ে (৭) ও মাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এদিকে বিকেলে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে সুবর্ণাকে পাবনার বালিয়াহালট কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।