র্যাব কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, সেকেন্দারের এক নারী সহকর্মীর কাছ থেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তারা পান। এরপর ভোরে তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক সেকেন্দারকে সোমবার হাতিরঝিল থানায় হস্তান্তর করার পর দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী।
হাতিরঝিল থানার ওসি আবু মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি হাতিরঝিল এলাকায় গাড়ির মধ্যে যৌন হয়রানির চেষ্টা চালানোর অভিযোগ করে সেকন্দারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার এক সহকর্মী।
তিনি জানান, ওই নারী টেলিভিশনের শিক্ষানবীশ কর্মী। শারীরিক সম্পর্ক না করলে চাকরি স্থায়ী হবে না বলে সেকেন্দার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
পরে সাংবাদিক সেকেন্দারকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে। অন্যদিকে তার জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে বিচারক হাকিম সত্যব্রত শিকদার তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইটিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদক বুলবুল চৌধুরী বলেন, আমাদের এক নারী সহকর্মী যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য বলে জেনেছি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বলেই এই নারী সহকর্মী অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন। অফিসের সিদ্ধান্তে এই মামলা করেন ছয় মাস আগে যোগ দেওয়া এই নারী সহকর্মী।
তবে সেকেন্দারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের এটাই প্রথম বলে জানান বুলবুল চৌধুরী।
ইটিভির সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মামলা হয়েছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এ ব্যাপার কিছু বলার নেই।
এদিকে সেকেন্দারের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন পুরো ঘটনাটিকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলছেন। তিনি বলেন, রাত আড়াইটার দিকে র্যাব তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়।
পুরো ঘটনাটি ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে ইয়াসমিন জানান, চাকরি ছাড়তে আমার স্বামীকে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি ফাঁসাতে বিভিন্ন মেয়েকে দিয়ে চাকরি চাওয়ার কথা বলে ফোন করা হচ্ছিল। কয়েকদিন তার ফেসবুক হ্যাক করা হয় এবং বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হয়, যা ষড়যন্ত্রের অংশ। তার বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত চলছে তা আমাকে বলত।
নিলুফার বলন, এ ব্যাপারে আমি তাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি একটি জিডি করেন, যার কপি র্যাব নিয়ে গেছে।
তবে কারা ‘ষড়যন্ত্র’ করছে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি নিলুফার।
কোনো প্রমাণ ছাড়াই মেয়েটির অভিযোগ নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।