জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের মালিকানাধীন ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল থেকে তাকে আটক করা হয়।
ক্রিসেন্ট গ্রæপের তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়া। গতকাল বিকেলে এনবিআর সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজধানীর চকবাজার মডেল থানায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর আবদুল আজিজসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং যথাক্রমে-৫৪, ৫৫ ও ৫৬। মামলায় আবদুল আজিজ ও জনতা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ ও ৫৬ মামলার অন্যতম আসামি ক্রিসেন্ট লেদার ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে কাকরাইল থেকে আটক করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৪২২.৪৬ কোটি টাকা, ৪৮১.২৬ কোটি টাকা ও ১৫.৮৪ কোটি টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৯১৯.৫৬ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই অবৈধ কাজের সাথে জড়িত থাকায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর কর্তৃক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) অনুযায়ী রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস লিটুল জাহান (মিরা) এবং অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের চেয়ারম্যান এম এ কাদের এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস সুলতানা বেগম (মনি) ও জনতা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ১৩ জন কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।