শিরোনাম: নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৭ তম বর্ষপূতি চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরির ১ হোতা পুলিশী তৎপরতায় আটক উন্নত,সমৃদ্ধ,বৈষম্যহীন ও জবাবদিহিতামূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মতবিনিময় জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো ক্রীড়া সংগঠকরা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বান্দরবান সেনা জোন এর উপহারের বই পেলো মেধাবী শিক্ষার্থীরা

কাবিননামা ছাড়া বিচ্ছেদের আবেদন, ‘মানহানি’ বললেন অপু


প্রকাশের সময় :১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ৭:১৮ : পূর্বাহ্ণ 786 Views

বিনোদন নিউজ ডেস্কঃ-স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে শাকিব খান তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর।২২ নভেম্বর ইস্যু হওয়া নোটিশটির একটি কপি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩ এ পাঠানো হয়।ওই নোটিশের সাথে নিয়ম অনুযায়ী শাকিব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেননি।আর পুরো বিষয়টিতে ‘মানহানি হয়েছে’ বললেন অপু বিশ্বাস।গতকাল সোমবার সকালে ছিল বিচ্ছেদ আবেদনের প্রথম সমাঝোতা সালিশের বৈঠক।কিন্তু অপু উপস্থিত হলেও ছিলেন না শাকিব।বাধ্য হয়ে একাই সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৩-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.হেমায়েত হোসেনের সাথে তালাক নোটিশের বিপরীতে সমঝোতা বৈঠকে বসেন নায়িকা।মো.হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘শাকিব খান একটি সাদা কাগজে লিখিত আকারে অপু বিশ্বাসের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন।কিন্তু তিনি এর সাথে কাজী অফিসের সিলসহ আলাদা তালাক নোটিশ,সাক্ষি,হলফনামা কিছুই দেননি।’ অপু বিশ্বাস বলেন, ‘শাকিব যে কাগজপত্র পাঠিয়েছেন,তা দেখে এখানকার কর্মকর্তারা বিস্মিত।এখানে শুধু বিষয় লেখা আছে ডিভোর্স।কিন্তু কী কারণে,কেন তা লেখা নেই।’
শাকিব খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘তখন অপু বিশ্বাস কোথায় থেকে কাজী এনেছে তা মনে নেই শাকিব খানের।তাই আমরা কাবিননামা দিতে পারেনি।তাছাড়া হলফনামা কেন দিতে হবে বুঝতে পারছি না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার ক্লায়েন্ট শাকিব খান দেশের বাইরে আছেন।ওখান থেকে তিনি আমাকে বলেছেন,সমঝোতা চান না।তাই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না দেখে সালিশে যাইনি।’ আইনজীবীর এমন কথাই বেশ ক্ষুব্ধ অপু বিশ্বাস।তিনি বলেন, ‘এখন তারা যদি ছেলেমানুষি কাগজ দিয়ে বলে—যা দিয়েছি তা ওকে।তাহলে তো আমাকেও উপযুক্ত কিছু করতে হবে। কারণ এটাতে তারা আমার মানহানি করছে।যদি ডিভোর্স দিতে হয় তাহলে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে।যেহেতু বিনা কারণে বিনা কাগজে এ ধরনের কথা বলছে তাতে আমার সম্মানহানি হচ্ছে।আরো অনেক কিছু হানি হচ্ছে। পরবর্তীতে জিনিসটাকে স্বাভাবিকভাবে দেখব না।’ এদিকে বৈঠকে শাকিব বা তার কোনো প্রতিনিধি না আসায় অপু বেশ কষ্ট পেয়েছেন।তিনি মনে করেন,শাকিব না থাকতে পারলেও তার পরিবার,আইনজীবী বা বন্ধু-বান্ধবরা থাকতে পারতেন।কারণ বিবাহ যেমন একপক্ষীয় ব্যাপার না,বিচ্ছেদও একপক্ষীয় না।অপু বলেন, ‘ওর সাথে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।ওর সাথে অনেকদিন দেখা নাই।ভেবেছিলাম এখানে দেখা হলে,সামনাসামনি কথা-বার্তা হলেও সবকিছুর অবসান হবে।’ আপনার চাওয়াটা কী? ‘আমার চাওয়া থাকতো আট বছর আগে—পজেটিভ,নেগেটিভ।যেহেতু আমার এখন একটা বাচ্চা আছে,আমি ধর্মান্তরিত হয়েছি।বাচ্চার স্বার্থে ও ধর্মান্তরিতের স্বার্থে সংসারটা আমি চাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘শাকিব যদি রাগের মাথায়ও (বিচ্ছেদের আবেদন) করে থাকে তাহলেও বলব তার একটা বাচ্চা আছে।তার ক্যারিয়ার আল্লাহ অনেক দিয়েছে,সুনাম, টাকা-পয়সা যা যা দরকার আল্লাহ সবই পূরণ করেছে। যে এখনো জীবন শুরুই করতে পারেনি,তার দিকে তাকিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়া উচিত।’ কাগজপত্র দেননি শাকিব।আজকেও আসেনি।সেক্ষেত্রে আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? মো.হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা আবার ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের দুজনকে তলব করে নোটিশ জারি করেছি।ওইদিনও না আসলে তৃতীয়বারের মতো নোটিশ দেব।তখনো না আসলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।কারণ আমরা আদালত না,সাধারণ সালিশ কেন্দ্র।নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিন পর ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাওয়ার কথা।’ তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু অপু বিশ্বাস বলছেন কাগজপত্র দেওয়া হয়নি,উনি ডিভোর্স চান না।সেক্ষেত্রে তিনি ডিভোর্সের আগে পরে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবেন।’ বছরখানেক অন্তরালে থাকার পর ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এসে বিয়ে ও সন্তানের খবর জানান অপু বিশ্বাস।তিনি জানান,২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিবের সঙ্গে বিয়ে হয়। কলকাতার একটি ক্লিনিকে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের।এ খবর প্রকাশের পর থেকেই শাকিবের সঙ্গে অপুর মান-অভিমান চলছিল। তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর নিকেতনে একাই থাকছেন অপু।অপু ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন।এরপর ২০০৬ সালে পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই জুটি ৭০টির মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!