”বান্দরবানে চা চাষে এগিয়ে আসুন জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখুন” এই প্রতিবাদ কে সামনে রেখে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষক শিক্ষিত বেকার সমাজকে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনমান উন্নয়নে ও বেকারত্ব দূরীকরণে চা চাষ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
আজ ৪ নভেম্বর দিনব্যাপী বান্দরবান হ্লাপাইমুখ চা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সিএইচটি প্রকল্প বান্দরবান জেলা চা বোর্ডের আয়োজনে কৃষকদের এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
সিএসটি প্রকল্প পরিচালক বান্দরবান জেলা চা বোর্ড এর উর্দ্ধতন পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমন শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুমা উপজেলার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষি তথ্যবিদ মোঃ ইমরান হোসেন, মাঠ সহকারি মেহেদী হাসান জয়, কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে অতিথি ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ জানান বান্দরবানের মাটির চা চাষের উপযোগী হওয়াতে বান্দরবানের চা চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে চাষিরা। এছাড়া চা চাষের বিষয়ে তাদেরকে সার্বক্ষণিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছেন তারা। হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ শেষে অতিথিরা চা বাগান পরিদর্শন করেন এবং চা বাগানে কৃষকদের নানা বিষয়সমূহ হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান কররেন । কিভাবে তা পরিচর্যা করলে সঠিক নিয়মে লাভবান হওয়া যাবে সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।
চা চাষের বিষয়ে কথা বললে বান্দরবান সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও চা চাষী ম্যাথাইচিং মারমা জানান , আমি পড়াশোনার পাশাপাশি চা উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্ষুদ্র আকারের চা চাষ শুরু করেছি এখান থেকে বর্তমানে আমি বেশ লাভবান হয়েছি এবং নিজের পড়ালেখার খরচ নিজে জোগাড় করছি । বর্তমানে আমাকে দেখে পাড়ার অনেক শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ ও প্রান্তিক চাষীরা এই চা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। চা চাষের বিষয়ে চা উন্নয়ন বোর্ডের সকল উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা আমাদের সবসময় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন এবং তারা আমাদের বাগান পরিদর্শন করে কিভাবে ফসল রোপণ করতে হবে কি সার প্রয়োগ করতে হবে কিভাবে পরিচর্যা করলে আমরা লাভবান হব সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। আমি বিশ্বাস করি বেকার বসে থাকার চেয়ে নিজেই স্বাবলম্বী হবার চেষ্টা করলে জীবনে ভালো কিছু করা সম্ভব।