

টানা ১২দিনের প্রবল বর্ষনের কারনে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হওয়ায় জেলার সাথে গত ৮দিন ধরে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ার কারনে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে।সকাল থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম-ঢাকা-কক্সবাজারের বাস ছেড়ে গেছে এবং যথারীতি বাস বান্দরবানে প্রবেশ করেছে।বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়ার বড়দুয়ারা এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে গত ৯ জুলাই থেকে বান্দরবানের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে,ফলে বেড়ে যায় নিত্য পন্যের দা।আজকে যান চলাচল শুরু হবার পর বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি পরিলক্ষিত হয়েছে।জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারনে জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।বান্দরবান পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডসহ ৭টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গিয়ে ধসে পড়ে সড়ক,ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ঘরবাড়িসহ ফসলের।১৯৯৭ সালের পর বান্দরবানে এই ধরণের ভয়াবহ বন্যা আর দেখা যায়নি বলে মনে করছে স্থানীয়রা।এদিকে সকাল থেকে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হলে সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা স্বস্তি বোধ করে।এদিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়ার কারনে জেলার রোয়াংছড়ি, থানচি,রুমা উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে,যত দ্রুত সম্ভব সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করে যান চলাচলের উপযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন এসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।