বান্দরবান জেলা শহরতলির কুহালং ইউনিয়নের ক্যামলংপাড়া এলাকা থেকে অপহৃত ইটভাটার ব্যবস্থাপক ইউছুফ আলীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।১৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে আজ বুধবার বেলা একটার দিকে জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড় থেকে ইউছুফকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।গত মঙ্গলবার রাত সোয়া নয়টায় ইউছুফকে একটি ইটভাটা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,ইউছুফ আলীকে অপহরণের পর থেকে এলাকাবাসী গতকাল সারা রাত অপহরণকারীদের থাকার সম্ভাব্য স্থান সোনাইছড়ি পাহাড় ঘিরে রাখেন।
অভিযান শুরুর আগে আজ সকাল নয়টার দিকে মংখ্যাইসিং মারমা নামের এক সন্ত্রাসী ক্যামলংপাড়ার দোকানে আসেন।এলাকার অপরিচিত ব্যক্তি খাবার ও পানি কেনার সময় সন্দেহ হওয়ায় পাড়াবাসী তাঁকে আটক করেন।আটক মংখ্যাইসিং সোনাইছড়ি পাহাড়ে অপহৃত ইউছুফ আলীকে আটকে রাখা হয়েছে বলে গ্রামবাসীকে তথ্য দেন।এরপর গ্রামবাসী পুলিশকে বিষয়টি জানান।
ক্যামলংপাড়ার কাছাকাছি সোনাইছড়ি পাহাড় জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে। ইউছুফ আলী যে ইটভাটা থেকে অপহৃত হয়েছিলেন, সেখান থেকে সোনাইছড়ি পাহাড়ের দূরত্ব মাত্র আড়াই কিলোমিটার।কিন্তু জঙ্গলাকীর্ণ ও উঁচু-নিচু পাহাড়ি রাস্তা হওয়ায় যাওয়ার পথটি অত্যন্ত দুর্গম।কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংপু মারমা বলেন,সকালে আটক মংখ্যাইসিং মারমাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের সঙ্গে এলাকার শত শত লোক সোনাইছড়ি পাহাড় ঘিরে তল্লাশিতে নামেন।বেলা একটার দিকে সন্ত্রাসীরা অপহৃত ইউছুফ আলীকে ছেড়ে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।এরপর বেলা দুইটার দিকে পাহাড়ের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সাহ্লা মারমা ও সানি মারমা নামের আরও দুই সন্ত্রাসীকে দুটি কাটা বন্দুক,ওয়াকিটকি, মুঠোফোনসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।গ্রেপ্তার তিনজনের বাড়ি খাগড়াছড়ি।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম শহীদুল ইসলাম বলেন,ইটভাটার ব্যবস্থাপক ইউছুফ আলীকে উদ্ধার করা হয়েছে।একই সঙ্গে তিন সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান এখনো চলমান।গত মঙ্গলবার সোয়া নয়টার দিকে মকছুদ আহম্মদের ইটভাটা থেকে আট জনের একটি সন্ত্রাসী দল এসে ব্যবস্থাপক ইউছুফ আলীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।এর আগে ইটভাটার শ্রমিক-কর্মচারীকে বেঁধে রেখে তাঁদের মুঠোফোন ও টাকাপয়সা নিয়ে যায়।