তিন পার্বত্য জেলা সীমান্ত সড়ক প্রকল্প কাজ শেষে হলে জেলাগুলোর আন্তঃআঞ্চলিক সংযোগ স্থাপন হবে।সেই সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে বান্দরবানের থানচি সীমান্তের থানচি লিকরি সড়ক পরিদর্শন করে কথাগুলো বলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সেনাপ্রধান বলেন,সীমান্ত সড়কের কাজ শেষ হলে পাশের দেশের সঙ্গে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ হবে।একই সঙ্গে পাশের দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার,সীমান্ত এলাকার কৃষিপণ্য দেশের মূল ভূ খণ্ডে এনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পর্যটনের উন্নতি হবে।এছাড়াও শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ বৃদ্ধিসহ দুর্গম এলাকাগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখবে।
এ সময় ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.মাসুদুর রহমান,বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার মো.জিয়াউল হক,পিএসসি এএফডাব্লিউসি এনডিসি ,অতিরিক্ত পরিচালক ও সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল এএনএম ফয়েজুর রহমান,১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ও সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক মেজর সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ও ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন-৩ এর কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কোম্পানি অধিনায়ক ও সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মো.মোস্তফা কামালসহ অন্য সেনাকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,তিন পার্বত্য জেলায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট এক হাজার ৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়কের কাজ চলমান আছে। প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিলোমিটারের কাজ সাতটি সেগমেন্টে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।বাকি কাজ দ্বিতীয় পর্যায়ে সম্পন্ন করা হবে।