বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব সাংগ্রাইকে ঘিরে জেলাজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।এই উৎসবকে ঘিরে নতুন পোশাকসহ নানা কেনাকাটা,ঘরবাড়ি সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাহাড়িরা।জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে পড়েছে কেনাকাটার ধুম। বলতে গেলে চারদিকে এখন সাজসাজ রব।জানা গেছে, পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছর বরণকে পাহাড়ি মারমা ভাষায় সাংগ্রাই, চাকমা ভাষায় বিজু, তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বিষু, ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মুরং বাসায় সাংক্রান, সনাতনী ভাষায় বিয়ুসহ পাহাড়ের এ ভাষাগুলোকে একসঙ্গে বলা হয় বৈসাবি উৎসব। বৈচিত্র্যময় ভিন্ন ভিন্ন কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সামাজিক বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় এই বৈসাবি উৎসব পালন করে থাকে পাহাড়ে বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়। এ উৎসবে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ। এর পাশাপাশি গানে আর নাচে পরস্পরকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তারা।
সাংগ্রাই অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, আগামী ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বান্দরবানে তিন দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে মারমাদের সাংগ্রাই অনুষ্ঠান।১৩ এপ্রিল সকালে বান্দরবান শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।এ উৎসবকে স্বাগত জানাতে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে বান্দরবান জেলায় বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ।
এদিকে সাংগ্রাই উপলক্ষ্যে বান্দরবানের বার্মিজ মার্কেটগুলোতে জেলার সাতটি উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে পাহাড়ি নারী-পুরুষরা এসে বার্মিজ থামি,চন্দন এবং কসমেটিক কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এবার বিক্রি ভালো হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা। পাশাপাশি সাংগ্রাই সন্নিকটে চলে আসায় ইতোমধ্যে সব কেনাকাটা শেষ করতে পেরে ক্রেতারাও খুশি।
বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়িরা বছরের শেষের একটি দিন এবং নতুন বছরের প্রথম তিন দিন নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় বছরের সকল পাপাচার,গ্লানি ধুয়েমুছে দিতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে যুগ যুগ ধরে বৈসাবি উৎসব পালন করে আসছে।
এ বিষয়ে সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শৈটিং ওয়াই মারমা বলেন,আমাদের উৎসব উদযাপন কমিটি থেকে তিন দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবে সাঙ্গু নদীতে বুদ্ধস্নান,সমবেত প্রার্থনা,জলকেলি,পিঠা তৈরি, হাজারো প্রদীপ প্রজ্বলন,বয়স্ক পূজা এবং সম্প্রদায়গুলোর নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী নৃত্য,গানসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন হয়ে থাকে।তবে এবার মাহে রমজান ও অন্যান্য ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম বলেন, বান্দরবানবাসীর সবচেয়ে বড় উৎসব সাংগ্রাইকে ঘিরে উৎসবের প্রতিটি স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।প্রত্যেক স্তরে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলব।তারা যেন সুন্দর ও নিরাপদভাবে কাঙ্ক্ষিত অনুষ্ঠান পালন করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.