বান্দরবান অফিসঃ-কারও জন্য সাংগ্রাই কিংবা কারও জন্য বিযু অথবা কারও জন্য পানি উৎসব,এককথায় পুরনো বাংলা বছর কে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর কে বরণ করে নেয়া যা বর্ষবরণ হিসেবেই পরিচিত।আর এই বর্ষবরণের ক্ষেত্রে বান্দরবান পার্বত্য জেলা সারাদেশের তুলনায় অনন্য।উৎসাহ উদ্দীপনা একটু বেশী পরিলক্ষিত হয়।হাজার হাজার পর্যটকদের ভীড়ে বান্দরবানের বর্ষবরণ হয়ে উঠে অনবদ্য এবং বর্ণিল।আর এই বর্ষবরণ উৎসব অর্থাৎ সাংগ্রাই উপলক্ষ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় হাতে নেয়া হয়েছে ৪ দিনের ব্যাপক কর্মসূচি।প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বর্ষবরণে মুখিয়ে আছে বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জনসাধারণ।বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই উদযাপনে হাতে নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি গুলোর মধ্যে রয়েছে ১৩ এপ্রিল সকাল ৮.৩০টায় সাংগ্রাই মঙ্গল শোভাযাত্রা, সকাল ১০.০০টায় বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা।১৪ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় বুদ্ধমুর্তি স্নান।১৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা মৈত্রী পানি বর্ষন।১৬ এপ্রিল বিকেল ৩টা মৈত্রী পানি বর্ষন,৩.১৫ টায় ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা আয়োজন, ৩.৩০টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মতো বর্নাঢ্য আয়োজন।অনুষ্ঠান গুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ টি স্পট।বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সাংগ্রাই এর এই বর্ণাঢ্য র্যালী,পানি বর্ষণ,ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।অন্য দিকে বুদ্ধমূর্তি স্লান ও পুজা অনুষ্ঠিত হবে উজানীপাড়ার সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী বালুচরে।এছাড়াও জেলা শহরের অত্যন্ত পরিচিত এবং বেশিরভাগ উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত মধ্যম পাড়া,উজানীপাড়ার মতো ছোটবড় বিভিন্ন পাড়ায় চলবে দিনরাত পিঠাপুলি বানানোর উৎসব।বর্ষবরণ অর্থাৎ মাহা সাংগ্রাই এর মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে বর্ণাঢ্য এক র্যালীর মাদ্ধমে।আর এই র্যালীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে র্যালীর নেতৃত্ব দিবেন বলে জানা যায়।র্যালীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা,জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন,জেলা পুলিশ সুপার মোঃজাকির হোসেন মজুমদার সহ স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।