কেউ মরণ কামড় দিলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।সেনা বাহিনী খুবই মানবিক।আমরা সারাবিশ্বে মানবিকতার জন্য বিখ্যাত।শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীকারী দেশ।এটা অর্জনের পিছনে যেসব গুণাবলী আছে তারমধ্যে অন্যতম হলো,মানুষের প্রতি দরদ ও সহনশীলতা।আমরা কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এ ধরনের কোন কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো করে নাই।
রবিবার (৪ জুন) বান্দরবান সেনা জোনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন।এসময় তিনি আরো বলেন,কেউ যদি দেশের ক্ষতি করছে,দেশের জনগণের ক্ষতি করছে,সেটা রোধ করতে যদি আমাদের শক্ত অবস্থানে যেতে হয়,অবশ্যই যাবো।কিন্তু সেটা আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য না,আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছুর সমাধান চাই।সন্ত্রাসীরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাদের স্বাগত জানানো হবে।অন্যথায় কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানান সেনা প্রধান।
সেনা প্রধান আরো বলেন,আমরা যে অভিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে অপারেশন করছি সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।তিনি বলেন-এ অঞ্চলটা খুবই দূর্গম অঞ্চল।সামনে একটা পাহাড় দেখা গেলেও সেখানে পৌঁছাতে লাগে কয়েক ঘন্টা সময়।তাই একটু কাজ করতে সময় লাগছে।প্রতিটা জায়গায় আমরা যেখানে সন্ত্রাসীদের গোপন ঘাটি বা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাচ্ছি সেগুলো আমরা দখল করেছি, তাদের মূল ঘাটি দখল করেছি, তাদের মূল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দখল করেছি। তারা এখন আর এই এলাকায় নাই। এখন জনগণের সাথে মিশে কিছু কিছু আছে।তাদের আমরা যারা বাংলাদেশী জনগণ,তারা বাংলাদেশের শত্রু হোক সেটা আমরা কখনোই চাই না।বাংলাদেশের জনগণ,বাংলাদেশের ভিতরে থাকবে, বাংলাদেশের আত্মসামাজিক উন্নয়নে তারা ভূমিকা রাখবে, এটাই আমাদের কাম্য।দেশের পুলিশ প্রশাসন,বর্ডার গার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা কাজ করে যাচ্ছে।সেনাবাহিনীর যে বিশেষ অভিযান আমরা সেটা প্রায় শেষ করে এনেছি,আমরা আশা করছি আমাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে শেষ করতে পারবো।
বান্দরবানের তিন উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- অশান্ত পরিস্থিতির কারণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।পরিস্থিতি শান্ত হলে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হবে।আমি খুবই আশাবাদী, কারণ যেহেতু আমাদের দ্বিতীয় ধাপে যেটুকু আমাদের দখল করার কথা সেটুকু আমরা দখল করে ফেলেছি।আমরা আশা করছি আরো করবো,বর্ডার রোড তৈরী হচ্ছে,পরিস্থিতি যখন শান্ত হবে,এখানে শুধু পর্যটনের লোক আসবে না,পর্যটকরা দলে দলে ঘুরতে আসবে এবং বান্দরবান বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মনে করেন সেনা প্রধান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান,এসবিপি,এসজিপি,এনডিসি,এএফডব্লিউসি, পিএসসি,পিএইচডি,বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন,এসজিপি,এনডিসি, এএফডব্লিউসি,পিএসসি,পিএইচডিসহ সেনাবাহিনী উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।