পাহাড়ে চলমান সংকট নিরসনের শান্তি কমিটির দেয়া প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফের শীর্ষ নেতারা।আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো দিন বান্দরবানের থানচি বা রুমা উপজেলায় বসতে পারেন বলে নিশ্চিত করেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র ও জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা।বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
সূত্রে জানা যায়,কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ আগামী ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুমায় উপজেলার যে কোন স্থানে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটিকে।পরে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে যেকোন দিন থানচি উপজেলায় বৈঠকে বসার কথা কেএনএফ নেতাদের প্রস্তাব দেন।উভয় পক্ষ থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট তারিখ,স্থান ও সময় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এ বিষয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন,এখনো সুনির্দিষ্ট তারিখ সময় নির্ধারিত না হলেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সঙ্গে সরাসরি বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে কেএনএফের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, সরকারের প্রতিনিধি প্রশাসনের কর্মকর্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহবায়কসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে এবং কেএনএফের প্রধান নাথান বমকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে কেএনএফ রুমা উপজেলা সীমান্তে সরাসরি বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটিকে।বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি থানচি উপজেলা সদরে বৈঠক করার কথা কেএনএফকে ফের প্রস্তাব দেন। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট তারিখ স্থান ও তাদের পক্ষে সংগঠনের প্রধান উপস্থিত থাকবেন কিনা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেননি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি মুখপাত্র।