সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের সহিংসতার ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়াতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।গতকাল বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট বান্দরবান জেলা সেক্রেটারি এ.কে.এম.জাহাঙ্গীর আলম,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর,নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী,উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য সচিব ইমরান মেম্বার সহ সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সরওয়ার কামাল।এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের উখিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হবে।বান্দরবানের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তে ৭টি পয়েন্টে অবস্থানরত ৫০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে পর্যায়ক্রমে কক্সবাজারের উখিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।সেখানে তাদের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পাশাপাশি নতুন করে আরও ৫০ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে।আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে।তিনি আরো জানান,রোহিঙ্গারা সেদেশে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।আপাতত তারা ওপারেও ফিরে যেতে পারছে না,তাই মানবিক কারণে তাদেরকে বান্দরবান জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নানা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সেবার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।পরে মতবিনিময় সভা শেষ করে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির বড়ছন খোলা সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।এসময় তিনি সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।এদিকে রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা সীমান্তে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে।রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা নিধন অভিযান অব্যাহত থাকায় সীমান্তের জিরো পয়েন্টের তুমব্রু, ঘুমধুম,বাইশফাঁড়ি,রিজু-আমতলী,চাকঢালা,আশারতলী এলাকায় নতুন করে আরো ২০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে খাদ্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে।স্থানীয় ভাবে কিছু খাদ্য সরবরাহ করা হলেও তা একেবারেই অপ্রতুল।অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.