সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবানে বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। খোদ শহরেই বেশ কয়েকটি স্কাভেটর লাগিয়ে প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কাটার কাজ।এবার শহরের কালা ঘাটা এলাকার নতুন ব্রিজের পাশে বীর বাহাদুর নগরে রাস্তা নির্মাণের নামে কেটে ফেলা হচ্ছে বড় পাহাড়।সেই মাটি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ট্রাকে করে।এসব মাটি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর অজিত দাশের সহায়তায় একটি চক্র পাহাড় কাটার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন কালাঘাটায় বীর বাহাদুর নগরে গিয়ে দেখা গেছে,পৌরসভার উন্নয়ন কাজের নাম ভাঙিয়ে স্কাভেটর দিয়ে বিশাল একটি পাহাড় কাটা হচ্ছে।পাহাড় কেটে ৫টি ট্রাক দিয়ে পাহাড়ের মাটি জলাশয় এবং নিচু জমি ভরাটের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।প্রতি ট্রাক মাটি ১৫ থেকে ১৬’শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে স্কেভেটার দিয়ে জেলা শহরে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হলেও দেখার কেউ নেই।প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।বীর বাহাদুর নগরে শুধু একটি স্থানে নয়,বসতি স্থাপনের জন্য নগরের চারপাশে পাহাড় কেটে জায়গা সমান করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রভাবশালীরা।কালাঘাটা নতুন ব্রিজ এলাকায় এবং বড়–য়াটেক এলাকায়ও কয়েকটি স্থানে পাহাড় কাটা হচ্ছে শ্রমিক দিয়ে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বছর খানেক আগে কালাঘাটার নতুন ব্রিজের পাশে সাবেক কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদসহ কয়েকজন জায়গা বিক্রেতা পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরকে দিয়ে বাহাদুর নগরটি উদ্বোধন করান।এরপরেই চক্রটি ঐ এলাকায় রাস্তা নির্মাণের কথা বলে বিশাল পাহাড় কাটা শুরু করে দেয়।এ কাজে সহায়তা করছে কালাঘাটার পৌর কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের নেতা অজিত দাশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন,আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় টিটু বড়–য়াসহ কয়েকজন বাহাদুর নগরসহ আশপাশের এলাকাগুলোর পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ব্যবসা করছে।পাহাড় কেটে দেয়ার জন্য জমির মালিকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন এবং পাহাড় কাটা মাটি বিক্রি করেও টাকা পাচ্ছেন।স্কেভেটার দিয়ে পাহাড় কাটার কারণে বসতি স্থাপনের জন্যও আরো অনেকে শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটছে।গতবছরও বান্দরবানের কালাঘাটায় পাহাড় ধসে ৬ জনসহ জেলায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু তারপরও পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছে না।এ বিষয়ে সাবেক পৌর কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদ জানান,তিনি নয় বর্তমান কাউন্সিলর অজিত দাশ,ঠিকাদার খোরশেদ ও তাদের সহযোগীরা পাহাড় কাটছেন।তিনি শুধু বীর বাহাদুর নগরের ৪৪৮ পরিবারের জায়গা সবার মাঝে ভাগ করে দিচ্ছেন।তবে রাস্তা নির্মাণের কথা বলে প্রথমদিকে পাহাড় কাটা হচ্ছিল বলে তিনি জানান।কাউন্সিলর অজিত দাশ জানান,রাস্তা নির্মাণের জন্য কিছু পাহাড় কাটা হচ্ছে।
সিন্ডিকেটের সদস্য টিটু বড়–য়া বলেন,উন্নয়ন কাজের জন্য পৌরসভার দেখিয়ে দেয়া জায়গায় স্কাভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে।পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে আমরা দুটো পয়সা রোজগার করছি।তবে পৌরসভার সচিব তৌহিদুল ইসলাম বলেন,বীর বাহাদুর নগরে রাস্তা তৈরির উন্নয়নের জন্য কিছুস্থানে পাহাড় কাটা হয়েছে।তবে অন্যদিকে পাহাড় কাটার ব্যাপারে আমাদের জানা নেই।এর দায়দায়িত্বও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নিবে না।সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শারমিন আক্তার বলেন,পাহাড় কাটার অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।(((পরিবর্তন ডটকম)))
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.