বান্দরবানে জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও
সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (১৭ই জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এর চেয়ারম্যান ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ।সভায় সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান এর জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন,মানবাধিকার রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।শুধু জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নয়,সবাই মিলে সচেতন হলে সকলের মানবাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।এসময় তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল মানবাধিকার রক্ষা করতে গিয়ে আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আহবানে ১৯৭১সালে বাঙ্গালী জাতির মানবাধিকার রক্ষায় এদেশের অসংখ্য সাধারণ জনগণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে স্বাধীন করেছে এবং বাঙ্গালী জাতির মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।এসময় তিনি জেলা কমিটির সদস্যদের আরো জোরদার ভূমিকা রাখার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত করার আহবান জানান।তবে রুদ্ধদার মতবিনিময় সভায় সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবান এর লামা উপজেলার সরইতে ম্রো পরিবার এর বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছেন কমিশন সদস্য কংজরি চৌধুরী।
এসময় কমিশন এর সার্বক্ষণিক সদস্য মো.সেলিম রেজা,সদস্য মো.আমিনুল ইসলাম,কংজরী চৌধুরী,ড.বিশ্বজিৎ চন্দ,সচিব (যুগ্ম সচিব) নারায়ণ চন্দ্র সরকার,পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম,পিপিএম,কমিশন এর পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আশরাফুল আলম,পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপ-পরিচালক মো.আজহার হোসেনসহ সুরক্ষা কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
একইদিন (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ঢেঁকিছড়া আমবাগান এলাকার রেংয়েং ম্রো পাড়ায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা পরিদর্শন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ।এসময় কমিশন চেয়ারম্যান বলেন,যারা অগ্নিকান্ড ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে।অন্যায়কারীকে ছাড় দেয়া হবে না।আমরা বিশ্বাস করি তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে।তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পাড়াবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা নিজেদের অসহায় মনে করবেন না।সরকার,স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আপনাদের পাশে আছে বলেও তিনি এসময় উল্লেখ করেন।