মাঝারি ও ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধ্বসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।বৃষ্টিপাতের কারনে আগাম সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বান্দরবান জেলা সদরের পৌরসভার কয়েকটি এলাকা পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নার্গিস সুলতানা।এসময় তিনি পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে আহবান জানান।এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর,৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.কামরুল হাসান বাচ্চু,৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানা জানান,কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারনে উপজেলার পাহাড়ি অধ্যুষিত বসবাসকারী জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সচেতনতামূলক মাইকিং অব্যাহত আছে।তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি। এদিকে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ হতেও জনসচেতনতামূলক মাইকিং অব্যাহত আছে।
এদিকে টানা বর্ষণে কিছুটা বিপাকে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন।কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে জেলা সদরের পাহাড়ি এলাকা গুলোতে বসবাসকারী জনসাধারণ পাহাড় ধ্বস আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে বান্দরবান-থানচি রোডে নীলগিরির নিকটবর্তী কালা পাহাড় থেকে বড় একটি পাথর ধসে পড়ায় ঐ রাস্তায় সকাল থেকে সকল প্রকার যানচলা চল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে থানচি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিস এবং বলি পাড়া বিজিবি সদস্যরা মিলে সকাল থেকে পাথরটি অপসারণের চেষ্টা চালায়।বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় ৪-৫ঘন্টা চেষ্টার পর পাথরটি অপসারণ করতে সক্ষম হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানচি উপজেলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার লিডার তরুণ জ্যোতি বড়ুয়া।
বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান,আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় মোট বৃষ্টি পাত হয়েছে ৯৬ মিলি।তিনি জানান আগামী সাত দিন চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।বিশেষ করে বান্দরবানে বিভিন্ন উপজেলায় ভারি বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।