"বাল্যবিবাহ মুক্ত বান্দরবান গড়ি" এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সুয়ালক ইউনিয়নের ৪,৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে জেলাপ্রশাসক কনফারেন্স রুমে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুরাইয়া আক্তার সুইটির সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন,মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনি মেয়ে কে বিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু বিয়ে দেয়া মানেই মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে এই ভাবনা থেকে আমাদের সবাইকে সরে আসতে হবে।বরং পারিবারিকভাবে আপনি আপনার পরিবারের মেয়েদের মনে ভীতি দুর করে তাদের মনে সাহস তৈরি করুণ।যাতে সহজভাবে সবকিছু মোকাবেলা করার শক্তি তাদের মনে তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন,মেয়েরা লেখাপড়া করলে জজ ব্যারিষ্টারের চেয়েও বেশি কিছু হতে পারে।মেয়েরা এখন পাইলট হয়ে পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছে,নাসার বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছে।সুতরাং মেয়েরা এখন আর সেই পঁচিশ পুরনো জায়গায় পিছিয়ে নেই।তিনি বলেন,প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি এবং এই ব্যাধিকে পরাজিত করতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে সচেতনতা তৈরী করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রেজা সরওয়ার,বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজ,মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর ম্যানেজার মিজ সোমা দত্ত।প্রোগ্রাম অফিসার মুমু রাখাইন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া চৌধুরী।
এছাড়াও বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা অনুষ্ঠানে আয়োজন এর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিএনকেএস এর প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর উবানু মার্মা।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও বিএনকেএস এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন,মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সুইডেন।
এদিকে সিএইচটি টাইমস ডটকম নিজ উদ্যোগে সংগৃহীত বিএনকেএস এর সামগ্রিক কার্যক্রম সম্বলিত একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন জনস্বার্থে প্রকাশ করা হলোঃ-
বিএনকেএস বান্দরবান পার্বত্য জেলার বেসরকারী একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে ১৯৯১ সাল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘ ২৯ বছর সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সহযোগী সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে নিরলস ভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।বর্তমানে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৪টি উপজেলা যথাক্রমে বান্দরবান সদর,থানচি, লামা ও আলিকদম উপজেলাসহ কক্সবাজার জেলা রামু ও উখিয়া উপজেলা রোহিঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীদের নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলমান রয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সুইডেন-এর সহায়তায় বান্দরবান সদর উপজেলা নারীর মানবাধিকার সুরক্ষা ও জেন্ডার সমতা প্রসার ঘটানো লক্ষ্যে নির্বাচিত এলাকায় নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস মেয়াদী জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবেলা কর্মসূচি প্রকল্পটি জুলাই,২০১৭ইং থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত চলমান রয়েছে।উক্ত কর্মসূচিতে ঘরের ও বাইরে নারীর মানবাধিকার সুরক্ষা,অধিকার,জেন্ডার সমতা,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ,নারীর নেতৃত্ব বিকাশ ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সেবার প্রাপ্তিতে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সকল প্রকার নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা হ্রাস করণের লক্ষ্যে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
বান্দরবান সদর উপজেলার জিবিভি প্রকল্পটি মাধ্যমে সুয়ালক ও কুহালং ইউনিয়নে প্রকল্পের সরাসরি সম্পৃক্ত অংশীজনদের মানবাধিকার, জেন্ডার সমতা,নারী অধিকার,আইনী সহায়তা বিষয়সহ বাল্যবিবাহ বিবাহ প্রতিরোধে নিরলসভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।বিএনকেএস এর বাস্তবায়নে সহযোগী সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সুইডেন-এর সহযোগিতা চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে বেছে নেয় সুয়ালক ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্তকরা।তারই আলোকে ইউনিয়নে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিকে সক্রিয় করা জন্য নিয়মিত ভাবে ত্রৈমাসিক মিটিং আয়োজনে মাধ্যমে সচেতনতার সৃষ্টি করা হয়।পাশাপাশি প্রত্যন্ত পাড়ার পর্যায়ে উঠান বৈঠক,মিটিং,প্রশিক্ষণ,গণশুনানী মতো নানান মূখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলায় জুড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা লক্ষ্যে সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ে নির্দেশনাক্রমে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে বান্দরবান পৌরসভা ৯নং ওর্য়াড ও সুয়ালক ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা করা জন্য উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।তারই আলোকে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে বিএনকেএস উদ্যোগ গ্রহণ করে সুয়ালক ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা করা।
বাল্যবিবাহের কারন সমূহ:
বান্দরবান পার্বত্য জেলা ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের বাল্যবিবাহের কারন সমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায়,পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা,দারিদ্রতা,যৌন হয়রানি,যৌতুকে চাহিদা,জেন্ডার দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক কুসংস্কার,বিশ্বাস ও রীতি-নীতি এবং বাল্যবিবাহ ক্ষতিকর দিক ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন সর্স্পকে সচেতনতার অভাব লক্ষণীয়। এছাড়াও প্রত্যন্ত পাড়ার প্রথাগত ব্যবস্থা, প্রচারনা অভাব,সংস্কৃতি এবং বিবাহ নিবন্ধন না থাকা একটি প্রধান কারন হিসেবে দাড়াই।
আমরা কেন বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনা করতে চাই:-
বাল্যবিবাহ আমাদের সমাজে একটা উদ্বেজনক একটি কারন হিসেবে দাঁড়িয়েছে।বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং বাল্যবিবাহ বন্ধের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বাল্যবিবাহ বন্ধের হারে অগ্রগতি গত দশকে তুলনায় কমপক্ষে ৮ গুণ এবং এসডিজি লক্ষ্য পূরণের জন্য ১৭ গুণ দ্রæততর করতে হবে।জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
সংস্থাটি বিয়ে সময় সমাপ্তিঃ-
বাংলাদেশের বাল্য বিবাহ অগ্রগতি এক চিত্রে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে,বাল্য বিবাহ হার বেশি। বাংলাদেশের নারীদের ৩ কোটি ৮০ লাখ শিশুকালে কনে হতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিেেয়ছে বিশ্বের এমন ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ।অপর দিকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্যবিবাহের হার বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি।যা দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্যবিবাহের সূচকে বাংলাদেশ ৪র্থ স্থানে অবস্থান করছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,বর্তমানে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের ৫১ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়সের আগে।আর দেশের নারীদের মধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখের বিয়ে হয় তাদেঁর বয়স ১৫ বছর হওয়ার আগে।প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের প্রবণতা ১৯৭০ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশের বেশি কমেছে।তবে তা এখনো অনেক বেশি।বান্দরবান পার্বত্য জেলা বেসরকারী সংস্থা হিসেবে বিএনকেএস মনে করে সরকারের মহতি উদ্যোগের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে সমাজের বাল্যবিবাহ সমস্যাগুলোকে প্রতিরোধ করা।৪নং সুয়ালক ইউনিয়নে বিএনকেএস ২০১৭ সাল হতে জিবিভি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো কর্মএলাকার বাল্যবিবাহ হার কমানো।তারই অংশ হিসেবে বান্দরবান পার্বত্য জেলা ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে ৪, ৬ ও ৭নং ওর্য়াডকে তথ্য,উপাত্ত সংগ্রহ করে বাল্যবিবাহ মুক্ত করা চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছাঁতে পেরেছি।ইউনিয়নে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও ওর্য়াডকে নির্বাচন করে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে সার্বিক সহযোগিতায় ও পরার্মশক্রমে বাল্যবিবাহ সচিত্র তুলে আনতে সক্ষম হয়।সুয়ালক ইউনিয়নে ৪,৬ ও ৭নং ওর্য়াডের বাল্যবিবাহ হার সংক্রান্ত যাবতীয় যেসকল পদ্ধতি গুলো প্রয়োগ করা হয় তার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে গত এপ্রিল ২০২২ মাসের ১৮টি পাড়ায় ২০০টি সরাসরি জরিপ,কেআইআই,এফজিডি,উঠান বৈঠক ও গণশুনাণী করা মাধ্যমে একটি সচিত্র তৈরি আনতে পেরেছি।
যা প্রকৃত চিত্র গুলো নিচে উপস্থাপনা করা হলো:-
সুয়ালক ইউনিয়নে ৪,৬ ও ৭নং ওর্য়াডের সরাসরি জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মাসিক আয় সমূহ তুলে ধরা চেষ্টা করেছি।কেননা পরিবারের মাসিক আয় আসলে বাল্যবিবাহ কারন হিসেবে দাড়াঁয় কিনা।সে চিত্রে দেখতে পাই:
শিক্ষার অবস্থা:
সরাসরি জরিপে অংশগ্রহণকারী ১০০ জন কিশোর-কিশোরী, যুবদের মধ্যে ১২ জন ছাড়া সকলের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত এবং বাকি ১২ জন যে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েছে তার প্রধান কারন হিসেবে পরিবারের আর্থিক সমস্যা বিষয় উঠে এসেছে।সুয়ালক ইউনিয়নে ৪, ৬ ও ৭নং ওর্য়াডের গত ২০২০ ও ২০২১ সালের বাল্যবিবাহ হার/চিত্র
সরাসরি ২০০টি জরিপের ইউনিয়নে ৪, ৬ ও ৭নং ওর্য়াডের অংশগ্রহণকারী মাধ্যমে ১৮ বছরের আগে মেয়ে এবং ২১ বছরের নিচে ছেলেদের বাল্যবিবাহ শিকার হয়েছে এমন ৩ জনের বিয়ে হয়েছে ২০২০ সালে জানুয়ারী।
বাল্যবিবাহ ও নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় জরুরী হেল্পলাইন/ হটলাইন নাম্বার সর্ম্পকে ধারনা:
এলাকায় বাল্যবিয়ে বা সহিংসতা সংগঠিত হলে কিভাবে প্রতিহত বা প্রতিরোধ করবে তা জরিপে তুলে আনার হয়:
ইউনিয়নে ৪,৬, ৭ নং ওর্য়াডের বাল্যবিয়ে ঝুঁিকতে রয়েছে:
বাল্যবিবাহ ও নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা সংগঠিত হলে কিভাবে প্রতিরোধ করবে তা ২০০ জনের অধিকাংশ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতাসহ জাতীয় জরুরী হেল্পলাইন নাম্বার গুলোর সর্ম্পকে সচেতনতার রয়েছে। তবে প্রত্যন্ত পার্বত্য এলাকার হওয়ায় কারনে প্রথাগত কারবারী ও হেডম্যানদের প্রতি নির্ভরশীল বেশি লক্ষ্য করা যায়।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোগ:-
০১.গত ০৩/০৪ /২০২২ইং তারিখে সুয়ালক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা আন্তরিক প্রচেষ্টা ইউনিয়নে রাস্তা মাথা নামক পাড়া থেকে জনেক মো: সেলিমে কন্যা মূর্শেদা বেগম (১৬ বছর) ঢাকা মুসিগঞ্জ জেলা এক ছেলে সাথে বাল্যবিবাহ শিকার হয়। সে মূসিগঞ্জ জেলা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তা পূর্ণরায় সুয়ালক ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে ফিরে আনতে সক্ষম হয়।
০২. গত ১৭ মে ২০২২ইং তারিখে সুয়ালক হেডম্যান পাড়া ৭নং ওর্য়াডে সুইচিংমং মারমা কন্যা উমেনু মারমা ( ১৪ বছর) এক রাইখাইন ছেলে সাথে পালিয়ে বিয়ে করা জন্য মহেশখালীতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুয়ালক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা পূর্ণরায় হেডম্যান পাড়া ফিরে নিয়ে আসেন।
উপরোক্ত জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে মাধ্যমে ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের ৪, ৬ ও ৭নং ওর্য়াডের বাল্যবিবাহ হার চিত্র পর্যালোচনা করে বাল্যবিবাহ মুক্ত ওয়ার্ড ঘোষনা করা যেতে পারে বলে প্রতিস্থাপন হয়। সুতরাং বাল্যবিবাহ মুক্ত ওর্য়াড ঘোষনা জন্য নিন্মোক্ত দাবী/ সুপারিশ গুলো তুলে ধরলাম:-
ক.৪,৬ ও ৭নং ওর্য়াডের বাল্যবিবাহ ঘোষনা হওয়ার পর ওর্য়াডে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা।
খ. বাল্যবিবাহ মুক্ত ওর্য়াড হিসেবে প্রচারণা ও পাড়াবাসীদের সচেতনতার জন্য বিলবোর্ড স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
গ. ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদে মাধ্যমে ৪, ৬ ও ৭নং ওর্য়াডের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মাসিক ভাবে মনিটরিং জোরদার করা।
ঘ. পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নে অন্যান্য ওর্য়াড সমূহে গুলোকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষনাকরণে উদাহারণ হিসেবে তুলে ধরা ।
ঙ. প্রত্যন্ত পাড়ার প্রথাগত কারবারী ও হেডম্যানদের মাধ্যমে বিবাহ নিবন্ধন প্রণয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
চ. প্রথাগত কারবারী ও হেডম্যানদের বাল্যবিবাহ নিরুৎসাহিত করা জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.