মানবতা হোক মানুষের জন্য,মানবতা তখনই সর্বোৎকৃষ্ট পর্যায়ে অবস্থান করে যখন তা পরিপূর্ণভাবে যথার্থ স্থানে প্রয়োগ করা হয়।মানবিক সহায়তা দিয়ে সেই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবক কাজল কান্তি দাশ।ভয়াবহ এই করোনা সংকটে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ অন্যতম সদস্য ও সমাজসেবক কাজল কান্তি দাশের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।করোনা ভাইরাস এর কারনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা শহরের মুচি ও ভ্যান চালকরা চরম অর্থ সংকটের স্বীকার হয়েছেন।মূলত আয় কমে যাওয়ার কারনে চরম সংকট ও দুর্বিষহ মুহুর্তে তাদের পাশে দাড়ালেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ।
যদিও প্রতিদিনই তিনি করোনা সংকটের এমন দুঃসময়ে কাওকে না কাওকে খাদ্য সামগ্রী অথবা কাউকে না কাউকে অর্থ সহায়তা সহ নানাবিধ মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টায় কাজল কান্তি দাশের কার্যালয়ে ৩০ জন মুচি ও ভ্যান চালকদের মানবিক অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন বিশিষ্ট এই সমাজসেবক।এসময় বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু,প্রেসক্লাব সেক্রেটারি মিনারুল হক,পাহাড় বার্তার নির্বাহী সম্পাদক এস.বাসু দাশ,মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এর বান্দরবান প্রতিনিধি কৌশিক দাশ গুপ্ত,মোহনা টেলিভিশনের রাহুল বড়ুয়া ছোটন ও চ্যানেল ২৪ এর ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আর্থিক সহায়তা পেয়ে মুচি ও ভ্যান চালকরা কাজল কান্তি দাশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা যায়।এবিষয়ে,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ বলেন,আমি সমাজের এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর কষ্টের কথা শুনে তাদের পাশে থাকতে চেষ্টা করছি মাত্র।খুব কষ্ট হয় যখন দেখি তারা না খেয়ে আছে, তখন আর চুপ হয়ে বসে থাকতে পারিনা।সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার আহবান আপনারাও তাদের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকুন।
উল্লেখ্য,গত ৩ এপ্রিল বান্দরবানের ১৪জন পত্রিকা হকারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন কাজল কান্তি দাশ।এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র উদ্যোগে বান্দরবান জেলায় দশ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তাকে কেন্দ্র করে কাজল কান্তি দাশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।