পেশাদার সাংবাদিকদের বান্দরবান প্রেসক্লাবে অর্ন্তভূক্তির দাবীতে প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সকল অনুষ্ঠানমালা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বান্দরবানের কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের পেশাদার সাংবাদিকেরা।আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবানে কর্মরত পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীরা অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়,বান্দরবানে সক্রিয়ভাবে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকরা বান্দরবান প্রেসক্লাব এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র প্রতি সম্মান রেখে বিবৃতি প্রদান করছি যে,আমরা জানতে পেরেছি, আগামী ২২ নভেম্বর শুক্রবার বান্দরবান প্রেস ক্লাবে গঠিত নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।নতুন গঠিত কমিটিতে কতিপয় পেশাদার সাংবাদিক ছাড়া অধিকাংশ অ-পেশাদার। এমতাবস্থায় আমরা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকরা বান্দরবান প্রেস ক্লাবের উক্ত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবো।
সবার জানা আছে যে,বান্দরবান প্রেসক্লাবে ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ৪ থেকে ৫ জন সক্রিয় ও আধা সক্রিয় সাংবাদিক রয়েছেন।অন্যরা সবাই অপেশাদার এবং সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।কিন্তু সরকারি অর্থ ব্যয়ে নির্মিত বান্দরবান প্রেস ক্লাব ভবনকে ওই ১৪ জন ব্যক্তি মালিকানা যৌথ সম্পত্তি মনে করে ব্যবহার করে আসছেন। এজন্য আমরা পেশাদার ও সক্রিয়ভাবে কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে যারা এক সময়ে সক্রিয় সাংবাদিক ছিলেন এবং বান্দরবার প্রেসক্লাব গঠনে অমূল্য অবদান রেখেছেন কিন্তু বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরে তারা সাংবাদিকতা থেকে সরে গেছেন সেসব সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মানের সঙ্গে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে অব্যহতি নেয়ার অথবা অব্যহতি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। বান্দরবান প্রেসক্লাব গঠনে কারো বিশেষ অবদান থাকলে স্বীকৃতি হিসেবে আজীবন সদস্য থাকতে পারেন। একই সঙ্গে বর্তমানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সকল সক্রিয় সাংবাদিকদের প্রেস ক্লাবের সদস্য করার আহবান জানাচ্ছি।
পরিশেষে,অধিকাংশ অপেশাদারদের নিয়ে গঠিত বান্দরবান প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকলেও আমরা অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।
বিবৃতিদাতা সাংবাদিকরা হলেন,দৈনিক প্রথম আলো’র প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, সময়টিভি,জনকন্ঠ, ঢাকা ট্রিবিউন এর প্রতিনিধি এস বাসু দাশ।এনটিভি,যুগান্তর,দৈনিক আজাদী প্রতিনিধি আলাউদ্দিন শাহরিয়ার,দৈনিক সমকাল এর প্রতিনিধি উজ্জল তংচঙ্গ্যা,বৈশাখি টিভি ও চট্টগ্রাম মঞ্চ প্রতিনিধি জহির রায়হান,বাংলাভিশন এর আল ফয়সাল বিকাশ,জিটিভি ও সারাবাংলা ডটনেট এর প্রতিনিধি মো:ইসহাক,আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি এইছ এম সম্রাট, ডিবিসি টেলিভিশনের প্রতিনিধি সৈকত দাশ,একুশে টিভি ও বাংলাট্রিবিউন এর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম টিটু,মাছরাঙা টেলিভিশন ও দৈনিক খোলা কাগজ প্রতিনিধি কৌশিক দাশ,যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি সাইনক্রোয়াই বাটিং,দৈনিক বণিক বার্তার, টিংশৈ প্রু (মংটিং)।
এসএ টিভি,বিডিনিউজ২৪ প্রতিনিধি উসি থোয়াই, দৈনিক আমাদের সময় ও সুপ্রভাত বাংলাদেশ প্রতিনিধি এন.এ জাকির,ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি প্রতিনিধি মংখিং সাইন,দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি মং সানু মার্মা,ডেইলি স্টার প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া,আরটিভি ও দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি সাফায়েত হোসেন,এশিয়ান টিভি,দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি নূরুল কবীর,মোহনা টিভি ও দৈনিক গিরিদর্পন প্রতিনিধি রাহুল বড়ুয়া ছোটন, চ্যানেল-২৪,এশিয়ান এইজ এর প্রতিনিধি ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী,দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি ক্যামু অং মার্মা,দৈনিক সাঙ্গু প্রতিনিধি আবুল বশর নয়ন’সহ অনেকে।
দৈনিক প্রথম আলো’র প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমা ও দৈনিক জনকন্ঠ প্রতিনিধি এস.বাসু দাশ বলেন, প্রেসক্লাব পেশাদার সাংবাদিকদের একটি সংগঠন। কিন্তু বান্দরবান প্রেসক্লাব তার ব্যতিক্রম।বান্দরবান প্রেসক্লাবে ১৪ জন সদস্য থাকলেও পেশাদার সাংবাদিক রয়েছে ৪-৫ জন। অন্যরা বর্তমানে সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।কিন্তু সরকারি অর্থায়নে নির্মিত বান্দরবান প্রেসক্লাব ভবনটি তাদের ১৪ জনের ব্যক্তি মালিকানা যৌথ সম্পত্তি মনে করে ব্যবহার করে আসছেন।এ জন্য আমরা পেশাদার ও সক্রিয়ভাবে কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এই ব্যাপারে দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন,প্রেসক্লাবে পেশাদার সাংবাদিকদের অর্ন্তভূক্তি করা এবং প্রেসক্লাবের দ্বার সকল কর্মরত সাংবাদিকদের উন্মোক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত সকল অনুষ্ঠানমালা এবং সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।