টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড় ঢল এবং পাহাড় ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরা রুমা ও থানচি উপজেলার সাথে বান্দরবান এর সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ।খুব দ্রুত এ দুই উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা যাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আমিন উল্লাহ নূরী।শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে বান্দরবান-রুমা সড়কের ২৫ কিলোমিটার অংশ ও থানচি সড়কের পোড়া বাংলা এলাকা এর বিধ্বস্ত সড়কগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শন শেষ সচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বান্দরবানসহ আশপাশের এলাকায় এবারের টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।রুমা-থানচি সড়ক যোগাযোগ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে।
ধসে যাওয়া স্থানগুলোতে মাটি কেটে নতুন সড়ক তৈরি করে সড়ক যোগাযোগ চালু করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদুর রহমান,বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন,সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো.মইনুল হাসান, চট্টগ্রামে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.জাহিদ হোসেন,রাঙ্গামাটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার,বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মোসলে উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বান্দরবান-থানচি ও বান্দরবান-রুমা সড়কের কমপক্ষে ২০টি স্থানে ছোট বড় পাহাড় ধসে পড়েছে।রুমা সড়কের ২৫ কিলোমিটার অংশ ও থানচি সড়কের পোড়া বাংলা এলাকায় সড়ক এমনভাবে ধসে গেছে সেখানে সড়কের কোনও অস্তিত্বই মিলছে না।এসব স্থানে নতুন করে পাহাড় কেটে মাটি সরিয়ে সড়ক তৈরির কাজ চলছে।বর্তমানে এই দুই উপজেলায় নৌকা ও ইঞ্জিন চালিত বোট দিয়ে যাতায়াত করছে জনসাধারন।
এদিকে সড়কের সাথে থাকা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ধসে পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে রুমা ও থানচি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে গত শনিবার থানচিতে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।রুমায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।উল্লেখ্য,গত ৭ আগস্ট থেকে টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড় ধসের পর বান্দরবানের সাথে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।