বান্দরবানে বোমাং রাজবিহারের দশম রাজগুরু ভান্তে বা বিহারাধ্যক্ষ হলেন কেটু মহাথের।বুধবার (২১ জুলাই) তাঁকে রাজগুরু হিসেবে অভিষিক্ত করেছেন বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী।কেটু মহাথের বোমাং সার্কেল বান্দরবানের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় বিহারের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার সকাল ৯টায় বোমাং রাজবিহারে রাজগুরুর অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। উপস্থিত ছিলেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মং এ প্রু চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমাসহ রাজপরিবারের সদস্যরা।করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজবিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মং এ প্রু চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কে এস মং মারমা জানিয়েছেন,গত বছরের ১১ জুলাই নবম রাজগুরুর প্রয়াণের পর রাজগুরুর পদটি শূন্য হয়।এটি পূরণের জন্য পরিচালনা কমিটি আলোচনা করে হাংসামাপাড়া বিহারের বিরাধ্যক্ষকে রাজগুরু হিসেবে মনোনীত করে রাজার কাছে সুপারিশ করেন।
কেটু মহাথের ১৯৬৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর থানচি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।১৯৮৯ সালে উপসম্পদান গ্রহণ করে ভিক্ষু হন।বাংলাদেশে পড়াশোনা শেষে মিয়ানমারে বুদ্ধ দর্শনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে কেটু মহাথের জেলা শহরতলির হাংসামাপাড়া বিহারে বিহারাধ্যক্ষ ছিলেন বলে পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী বলেন, ‘দশম রাজগুরু হিসেবে কেটু মহাথেরের হাতে রাজবিহারের চাবি তুলে দিতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।’ প্রধান অতিথি বীর বাহাদুর উশৈসিং ফুলের তোড়া দিয়ে দশম রাজগুরু ভান্তেকে বরণ করেন।
বোমাং রাজপরিবার ১৮০৪ সালে বর্তমান বান্দরবান জেলা শহরে রাজবিহারটি প্রতিষ্ঠিত করে। এটি বোমাং সার্কেলে বা বান্দরবানের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় বিহার হিসেবে পরিচিত। এ বিহারের অষ্টম রাজগুরু উপঞা জোত মহাথের বা উচহ্লা ভান্তে গত বছরের ১৩ এপ্রিল মারা যান। এরপর জ্ঞানপ্রিয় মহাথের নবম রাজগুরু হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার দুই মাস পর মারা যান। তখন থেকে বিহারাধ্যক্ষ বা রাজগুরু পদটি শূন্য ছিল।