বান্দরবানে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন।তিন দিনব্যাপী বিহারে বিহারে প্রার্থনা,হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন,ফানুস উড়ানে,মহারথ টানা,পিঠা তৈরিসহ নানা সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে চলে এই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব।এই প্রবারণাকে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায় ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে নামে উদযাপন করে আসছে।
এদিকে অনুষ্ঠানের শেষ দিনে সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বান্দরবান রাজার মাঠে আয়োজন করা হয় এক বর্ণিল অনুষ্ঠানের।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রঙয়ের ফানুস উত্তোলন আর রঙ-বেরঙয়ের আতশবাজি ফোটানোকে ঘিরে শতশত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো জেলা শহর।রঙিন ফানুস ও রঙিন আলোয় মূখর হয়ে ওঠে পাহাড়ের আকাশ।ভেদাভেদ ভুলে সব সম্প্রদায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করে এই উৎসবে।
উৎসবের প্রধান আকর্ষণ মহারথ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় রাজারমাঠ অতিক্রম করার সময়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা রথে মোমবাতি ও আগরবাতি প্রজ্জ্বলন করে এবং বুদ্ধ মূর্তিকে প্রণাম নিবেদন করে বিভিন্ন সামগ্রী দান করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ও সহধর্মিণী মেহ্লাপ্রু উপস্থিত থেকে রথে প্রণাম নিবেদন করেন এবং রথে মোমবাতি ও আগরবাতি প্রজ্জ্বলন করে প্রার্থনা করেন।এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শাহআলম,পৌরসভার মেয়র সামশুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যরাতে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে রথ উৎসর্গের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব শেষ হবে।