

বান্দরবানে মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবল নিয়োগ বিষয়ে উক্ত সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার।এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী হোসেন,রুমা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃরেজওয়ানুল হক,জেলা বিশেষ শাখা (ডি.আই.ওয়ান) মোঃবাচাঁ মিয়া,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী,টিআই (প্রশাসন) সালাহ্ উদ্দিন মামুন, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক।সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার বলেন,আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন সারাদেশের ন্যায় বান্দরবান পার্বত্য জেলাতেও পুলিশ রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য তুলে ধরার জন্যই বান্দরবান জেলা পুলিশ কতৃক আয়োজিত আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে সর্বমোট ৯৬৮০ জন পুরুষ ও নারী পুলিশ নিয়োগের লক্ষ্যে গত ২৪ মে শুক্রবার দেশের ৩-টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।সে মোতাবেক বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে জেলা সদরসহ জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্ন দপ্তরের নোটিশ বোর্ডে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাপক আকারে প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়।এর বাইরে ইউটিউব ও ফেইসবুকেও উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গত ২৪ জুন সোমবার বান্দরবান জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে আগ্রহী প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় মোট ২০৪ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারীসহ সর্বমোট ২৪০ জন চাকরি প্রত্যাশী পুরুষ ও নারী প্রার্থী অংশ গ্রহণ করে।তন্মধ্যে ১১৪ জন পুরুষ ও ২০ জন নারীসহ সর্বমোট ১৩৪ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে গত ২৫ জুন রোজ মঙ্গলবার মোট ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।লিখিত পরীক্ষায় ৮১ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারীসহ সর্বমোট ৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়।লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।মৌখিক পরীক্ষার ৩ দিন পর গত ৩০ জুন রবিবার উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চুড়ান্ত ডাক্তারী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।পরবর্তীতে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন ও অন্যান্য সকল প্রকারের কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে বান্দরবান পার্বত্য জেলার অনুকুলে ৫০ জন পুরুষ ও ৯ জন নারীসহ সর্বমোট ৫৯ জনকে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়।চুড়ান্ত মনোনয়নে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি থেকে ২০ জন,মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী মনোনিত হয়েছেন।পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা মোতাবেক ০৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য তাদেরকে নির্ধারিত পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রেরণ করা হবে।এসময় সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার দৃঢ়তার সঙ্গে সংবাদকর্মীদের জানান,অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে নিরপেক্ষভাবে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বান্দরবান জেলা পুলিশ দূর্নীতি,স্বজনপ্রীতি এবং পক্ষপাতিত্বকে প্রশ্রয় দেয় নাই।এক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।পুলিশ সুপার আরও জানান,বান্দরবানে ২৫৩৭ জন পুলিশের মঞ্জুরীকৃত পদের বিপরীতে ২১৫৫ জন কর্মরত আছেন।এরমধ্যে ২২৫ নারী কর্মরত রয়েছেন।এসময় পুলিশ সুপার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবার পর থেকে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করায় সংবাদকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বান্দরবান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।এসময় সংবাদ সম্মেলনে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি বাটিং মার্মা,মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিনিধি কৌশিক দাশ গুপ্ত,মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি রাহুল বড়ুয়া ছোটন,চ্যানেল নাইন প্রতিনিধি এনএ জাকির,চ্যানেল ২৪ প্রতিনিধি ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।