বান্দরবানে নারী পুলিশ ব্যারাক ও অনলাইন জিডি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (২১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইন জিডি কার্যক্রম ও নারী পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই অংশ হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার,বিপিএম জেলা পুলিশ লাইন্স প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।পুলিশ সুপার (ইন-সার্ভিস) ওয়াহিদুল চৌধুরী,পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট) আব্দুল হালিম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল,মো.নাজিম উদ্দিন,রেজা সারোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (২ এপিবিএন) মেঘদূত মজুমদার,গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মী চাকমা,প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হকসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা,প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, বিপিএম বলেন, “ব্যারাকটি উদ্বোধনের ফলে বান্দরবান জেলায় কর্মরত নারী পুলিশ সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থা উন্নত হবে”।সারাদেশের মতো বান্দরবান জেলাতেও এখন অনলাইন জিডি কার্যক্রম চালু হলো।বান্দরবানের জনসাধারণ এখন বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে জিডি করতে পারবে।
এসময় তিনি,অনলাইন জিডি কার্যক্রম এর বিষয়টি জনসাধারনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।তিনি বলেন,এই অনলাইন জিডি কার্যক্রমটির বিষয়ে সাধারণ জনগণ যত বেশি জানবে জনসাধারণ ততবেশি এই কার্যক্রমটির সুফল পাবে।এতে পুলিশিং কার্যক্রমও অনেকাংশে সহজ হবে এমনটাই আশাবাদ ব্যাক্ত করেন পুলিশ সুপার জেরিন আখতার।বান্দরবান গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো.ফয়েজুর রহমান জানান,১৫০ জনের আবাসন উপযোগী ৪ তলা এই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ০৬ লাখ টাকা।বান্দরবান গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভবনটি নির্মিত হয়।
উল্লেখ্য,একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানার কার্যক্রম,বাংলাদেশ পুলিশের দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর,পুলিশ হাসপাতালগুলোর আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় ১২টি পুলিশ হাসপাতাল,বান্দরবানসহ ছয় জেলা পুলিশের নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রম এরও উদ্বোধন করেন।