বান্দরবানে কথিত মানবাধিকার কর্মী এইছ এম মহিবুল্লাহ’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ


অন্য মিডিয়া:-(পাহাড় বার্তা ডটকম) প্রকাশের সময় :১৯ জুন, ২০১৯ ৩:৪৮ : অপরাহ্ণ 689 Views

কখনও সাংবাদিক,কখনও বা মানবাধিকার কর্মী, কখনও লাইফ ইন্সুরেন্স এর কর্মী। অনেক গুনের অধিকারী বান্দরবানে কতিথ মানবাধিকার কর্মী এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী। এবার ক্ষোধ এই গুনধর ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভান্তে।
সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি কমিশন (ডাব্লিউএইচসি) বান্দরবান জেলার সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক কল্যান ফাউন্ডেশন (জেএসকেএফ) এর কোষাদ্যক্ষ এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদাবাজীর অভিযোগে বান্দরবান শহরের এক বৌদ্ধ ধর্মীয় ভান্তে এই ব্যাপারে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবান পৌরসভার রোয়াংছড়ি বাসস্টেশন এলাকার ভান্তে কদঞেঞ থের এই অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগে তিনি জানান, গত ২১ মে মাহ্লা উ চৌধুরীসহ আরো দুইজন বান্দরবান শহরের পাসপোর্ট অফিস না চেনার কারনে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য আমার সহযোগিতা কামনা করে। আমি তাদের পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে কাজ শেষে শহরের বনফুল ফাস্ট ফুড দোকানে নাস্তা খাওয়ার সময় বিবাদী আমাদের কয়েকটি ছবি তুলে। কৌশলে আমার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে চাঁদা দাবী করে। এই সময় সে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন, আপনি নারী পাচারকারী। আমাকে দেড় লক্ষ টাকা না দিলে আমি ফেসবুকে আপলোড করে দিবে, আমি ডিজিএফআই এর লোক। গত ১৬ ও ১৮ জুন ০১৮৪০০৭৫৫১১ এই নাম্বার থেকে মাহবুব পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবী করলে আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করার কারনে আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালাগাল ও প্রানে হত্যার হুমকি প্রদান করেন।
এই ব্যাপারে কদঞেঞ থের ভান্তে পাহাড়বার্তাকে বলেন, চাঁদা দিতে না পারার কারনে সে আমাকে ডিজিএফআই এর লোক পরিচয় দিয়ে দফায় দফায় প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত নাম্বারে ফোন করে নিশ্চিত হন, নাম্বারটি কতিথ মানবাধিকার কর্মী এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী’র। এবং কথোপকতনে এই নাম্বারটি যে এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী ওরফে মাহবুবের এই বিষয়ে নিশ্চিত হন সদর থানার এই কর্মকর্তা। পরে এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরীকে বান্দরবান সদর থানায় তলব করা হলে সে থানায় যায়নি এবং ফোনটি বন্ধ করে বলে জানা যায়।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কয়েকবছর আগে আমি সাংবাদিকতা করেছি, এখন মানবাধিকার কর্মী হিসাবে সবাই আমাকে চেনে।
প্রসঙ্গত,এইছ এম মহিবুল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা। বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় বসবাস করলেও গত কয়েকবছর ধরে বান্দরবান শহরের বনরুপা পাড়ায় বসবাস করে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে তিনি চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড সংগঠিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে নাম্বার থেকে ফোন করে চাঁদাবাদী করেছে সে কে, ঘটনা তদন্ত্র সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!