বান্দরবানের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জেলার ৭ উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় ৬ জন করে ৪২ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।বান্দরবান জেলার সকল উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের নিরাপত্তায় তাদেরকে মোতায়েন করা হয়েছে।বান্দরবান জেলায় চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং উপজেলা চত্বরের সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির অংশ হিসাবে উপজেলা গুলোতে ০৬ জন করে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট মো.নূরুজ্জামান মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান,বান্দরবান জেলার প্রতিটি উপজেলায় ০৬ জন করে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এসব সদস্যরা বান্দরবান জেলার সকল উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা যায়,জেলার প্রতিটি উপজেলায় ১০ জন করে সাধারণ আনসার সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বান্দরবান এর প্রতিটি উপজেলায় ০৬ জন করে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য নতুনভাবে তাদের মোতায়েন করা হলো।প্রসঙ্গত,গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হামলা,টাকা ও অস্ত্র লুটের মতো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্তের খবর জানা গেলো।মাঠ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জোরদার করায় প্রশাসনের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করা যাবে এমনটাই মনে স্থানীয় পর্যায়ের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
এদিকে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবিবা মীরাসহ বান্দরবানের একাধিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা নতুন করে আরও ৬ আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন।উল্লেখ্য,২০২০ সালে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনায় সারা দেশে ইউএনওদের বাসভবনে নিরাপত্তায় চারজন আনসার সদস্য ও একজন প্লাটুন কমান্ড্যান্ট নিয়োগ দেয় সরকার।তখন থেকেই দেশের প্রতিটি উপজেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিদ্যমান ১০ জন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ও ইউএনও বাসভবনসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে করে যাচ্ছেন।