পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন,গুনীজনকে সম্মান দিলে সম্মান বাড়ে সকলের।এসময় তিনি আরো বলেন,যারা মরনপণ সংগ্রাম করে,যুদ্ধ যেনে ও যুদ্ধস্থান ত্যাগ করে না তিনি হলেন সংসপ্তক।আর এই পাহাড়ের সংশপ্তক হলেন সাংবািদকতার পথিকৃৎ এ কে এম মকছুদ আহমেদ।
শুক্রবার ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় বান্দরবান প্রেস ক্লাবের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এ কে এম মকছুদ আহমেদের জীবনী “পাহাড়ের সংশপ্তক ” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও বান্দরবান প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্যদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে পার্বত্যমন্ত্রী এই কথা বলেন।এসময় তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের স্বচ্ছ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে আর কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অসংখ্য টিভি চ্যানেল আর পত্রিকার প্রচার শুরু হয়েছে আর এতে নতুন নতুন অনেক সাংবাদিকের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।এসময় তিনি আরো বলেন,বান্দরবানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অবদান অপরিসীম।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এ কে এম মকছুদ আহমেদের জীবনী ” পাহাড়ের সংশপ্তক ” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও বান্দরবান প্রেসক্লাবের স্থায়ী ১৩ জন সদস্যকে সনদ বিতরণ করেন পার্বত্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক একে এম মকছুদ আহমেদ।
বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনুর সভাপতিত্বে এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.লুৎফুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ,সিভিল সার্জন ডা.অংসুই প্রু মারমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর,রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র মো.আকবর হোসেন, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাদশা মিয়া মাস্টার,সাবেক সহ সভাপতি এম এ হাকিম চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মিনারুল হক,সদস্য আবুল বশর সিদ্দিকী,মুছা ফারুকী,মিলন চক্রবর্তীসহ বান্দরবান ও রাঙামাটির বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।