বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম গোলাম কিবরিয়া বলেছেন,বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিভিন্ন ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে।এই মাস্টার প্ল্যানে ঐতিহ্য,সংস্কৃতি,সভ্যতা অনুযায়ী সেখানকার পর্যটনের উন্নয়ন করা হবে।যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে বান্দরবানের পর্যটন খাত।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।সাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সহকারী কমিশনার (ভূমি), হোটেল-মোটেল,রিসোর্ট,রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি,পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা হয়।
সভায় তিনি বলেন,পর্যটন সংশ্লিষ্টদের নিজস্ব ব্র্যান্ডিং নিয়ে ভাবতে হবে।বর্তমানে দেশে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাহাড় থেকে একবার ঘুরে যাওয়া পর্যটকরা যাতে বার বার ঘুরতে আসেন সেই চিন্তা মাথায় রেখে পর্যটকদের সেবা দিতে হবে।বেশি লাভের জন্য পর্যটক হয়রানি করা যাবে না।পর্যটকদের বিনোদনের জন্য সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজনের ওপর জোর দেন তিনি।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের সঠিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়নের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।এসময় পর্যটন ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে পানীয় জলের সমস্যা, পরিবহস ভাড়া,বিদেশি পর্যটকের আগমন,রিভার বেইজড যোগাযোগ,পার্শ্ববর্তী জেলার সঙ্গে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা সংকট দ্রুত কাটিয়ে তোলার আহ্বান জানান।পাশাপাশি করোনা ও সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটক উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ঋণ চালু করতে প্রধান অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
মতবিনিময় সভায় বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন,ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মনজুর মোরশেদ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে কুলসুম, মো.ফজলুর রহমান,এনডিসি শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন,প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু,অধ্যাপক ওসমান গণি,প্রথম আলোর প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পর্যটন ব্যবসায়ী এবং তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।