বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বান্দরবান পর্যটন ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ।সোমবার বিকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এই দাবি জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এসময় তারা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, আমরা বান্দরবানে হোটেল রিসোর্ট,রেষ্টুরেন্ট,পর্যটকবাহী যানবাহনসহ বিভিন্ন খাতে আমাদের কোটি-কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি।বিগত ২০১৯ সাল থেকে করোনা ভাইরাস, ভয়াবহ বন্যা,সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে লাগাতার ভাবে বান্দরবান এর পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
বিগত কয়েকমাস পূর্বে সীমিত পরিসরে কিছু পর্যটন স্পট পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য খুলে দিলেও দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কাঙ্খিত পর্যটক ভ্রমনে আসতে পারেননি।ফলে এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোতে ব্যাপক ধ্বস নামে।এসব খাতে জড়িত হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হন মালিকরা।
এসময় তারা আরো বলেন,চলতি মাসের ৮ই অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত সবগুলো পর্যটন স্পট অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমন না করতে পর্যটকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।ফলে শারদীয় দূর্গাপূজা ও প্রবারণার ছুটিতে প্রায় ৭০% শতাংশ হোটেল, রিসোর্ট বুকিং হওয়ার পরও বাতিল করতে হচ্ছে এবং প্রতি বছর শীতের মৌসুমে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে, বান্দরবানবাসীর একমাত্র আয়ের উৎস পর্যটন খাত।উক্ত খাত হতে এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায় এর মানুষের অর্থনীতি নির্ভর করে।
পর্যটন নির্ভর এ জেলায় এভাবে বছরের পর বছর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করার ফলে এখানকার পর্যটন নির্ভর অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ছে।এমতাবস্থায় পর্যটনখাতের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন হোল্ডিং ট্যাক্স,লাইসেন্স ফি,ভ্যাট,আয়কর,ব্যাংক ঋন পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এসময় ব্যবসায়ীরা পর্যটন সেক্টরে কর্মরত হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেঁচে থাকার স্বার্থে এবং অর্থনীতি সচল রাখতে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো খুলে দিতে হবে।এসময় বান্দরবান প্রেসক্লাব আমিনুল ইসলাম (বাচ্চু),বান্দরবান পর্যটন ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক নাছিরুল আলম, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম,হোটেল মালিক সমিতি নেতা জসিম উদ্দিন প্রমুখ।