একটি পরিচ্ছন্ন পৌর শহর নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।পাশাপাশি দেশজুড়ে বান্দরবান কে পর্যটন এর শহর বলা হয়।সুতরাং পর্যটকদের কথাও আমরা চিন্তা করি এবং তাদের সুবিধার্থে নানা ধরনের পৌর কার্যক্রম ইতিপূর্বে বাস্তবায়ন করেছে বান্দরবান পৌরসভা।পৌর নাগরিকদের সুবিধার্থে পৌরশহরের বেশকিছু রাস্তা নতুন করে কার্পেটিং করা হয়েছে।ড্রেন গুলো পরিষ্কার করে বৃষ্টির পানি যাতে জমতে না পারে তা নিয়ে নিয়মিত কাজ করা হচ্ছে।সাঙ্গু নদীর সাথে সংযুক্ত অনেক গুলো ছরা ড্রেজার দিয়ে পরিষ্কার করার পাশাপাশি পানির স্বাভাবিক গতিপথ নিশ্চিত করতে ছরাগুলো কে অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে।এতে নির্বিঘ্নে বৃষ্টির পানি সাঙ্গু নদীতে চলে যাচ্ছে।এর সুফলটাও চলমান বর্ষায় ইতিমধ্যে পৌরবাসী পাচ্ছেন বলেই অনেকে সরাসরি ফোন করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
রবিবার (১৯ জুন) সকালে বান্দরবান পৌরসভার ময়লা আবর্জনা দ্রুত অপসারণ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মাঝে নতুন ভ্যান গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে এভাবেই কথাগুলো সিএইচটি টাইমস ডটকমকে বলছিলেন পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বান্দরবান পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মামুনুর রশীদ,সচিব মো.তৌহিদুল ইসলাম,প্রকৌশলী মো.হুমায়ুন কবিরসহ বান্দরবান পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।এসময় যত্রতত্র ময়লা ফেলা বর্জন করি-পরিচ্ছন্ন শহর গড়ি এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে তিনটি ভ্যান গাড়ি বিতরণ করা হয়।এদিকে ৪ দিনের টানা প্রবল বর্ষনে পাহাড় ধ্বসের বিষয়টি কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে জনসাধারণ কে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে মাইকিং করছে পৌরসভা।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে ৯ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নাম্বার উল্লেখ করে ১২ টি আশ্রয় কেন্দ্রের নামসহ জরুরী সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।এতে পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরত নাগরিকরা যাতে কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করে নিরাপদ স্থানে সরে আসেন সেবিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।