পরিদর্শন শেষে বেলা ১১টায় মনজয়পাড়া গ্রামে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ,জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল,নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর শেখ,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা খাইরুল বশর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ,সাধারন সম্পাদক মোঃইমরান মেম্বার,আওয়ামীলীগ নেতা আবু তাহের কোম্পানী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী,বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম,ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ প্রমুখ।
গত ২১ মে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়া এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে পাঁচ শ্রমিক নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা নুর মোহাম্মদ (২৫) নামে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজারে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন।ঘটনার সাত ঘন্টা পর সন্ধ্যায় নুরুল হাকিমকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন পুলিশ,বিজিবি ও দমকলবাহিনীর সদস্যরা।দীর্ঘ উদ্ধার তৎপরতা শেষে রাত সাড়ে আটটায় বাকি তিন শ্রমিক-মো.আবু (৩০),সোনা মেহের (৩৫) ও জসীম উদ্দিনের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।স্থানীয় সুপায়েন বড়–য়ার পরিবার অবৈধভাবে দখল করে পাহাড়টি কাটছিল।এই ঘটনায় প্রজেক্ট মালিক রাজেন্দ্র বড়–য়ার ছেলে সুপায়েন বড়–য়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ প্রধান ছৈয়দ আলম বাদি হয়ে মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দন্ডবিধি ৩০৪(ক)/১১৪ তথসহ ভূমি ইমারত আইনের ১২(১১) ধারায় মামলাটি রুজু করেন। মামলার বাকি তিনজন আসামি হলেন- সুপায়েন বড়–য়ার ভাই রিটন বড়–য়া, ভুট্টো বড়–য়া ও প্রতিয়া বড়–য়া। তবে এ পর্যন্ত তাঁদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি শেখ আলমগীর বলেন,মাটিচাপায় তিন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।আসামিরা ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়েছে।তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।