থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা মামলায় এক নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গত রোববার (৭ এপ্রিল) থানচির টিএন্ডটি পাড়া থেকে ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়ি চালক মো.কফিল উদ্দিন সাগরকে ও জেলা সদরের রেইচা যৌথ বাহিনীর চেকপোষ্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে জড়িত এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান পুলিশ সুপার কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,গত ৩ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার সময় থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে অস্ত্রধারী ডাকাত দলের ২৫-৩০ জন সদস্য অতর্কিত হামলা করে।এ সময় অস্ত্রের মুখে উপস্থিত লোকদের জিম্মি করে সোনালী ব্যাংক থেকে নগদ ১৫-২০ লাখ টাকা ও কৃষি ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা লুট করে।একই সঙ্গে ব্যাংকের চাকরিজীবী ও উপস্থিত লোকজনদের কাছ থেকে ১০-১৫টি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।ফিরে যাওয়ার সময় ত্রাস সৃষ্টি করতে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িযোগে সাজাহং পাড়ার দিকে চলে যায়।
এ ঘটনায় থানচি থানায় মামলা করা হয়।রোববার বিকাল ৬টার দিকে থানচি উপজেলা শহরতলী টিএন্ডটিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্য গাড়ি চালক মো.কফিল উদ্দিন সাগরকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়।একই সঙ্গে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি বোলেরো পিক আপ গাড়ি জব্দ করা হয়।তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
একই দিন রাত ১১টার দিকে বান্দরবান জেলা সদরের রেইচা যৌথ বাহিনীর চেক পোষ্ট এলাকা থেকে থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের রোনিনপাড়ার ভান্নুন নুয়াম বম ও থানচি ইউনিয়নের সিত্লাং পিপাড়ার জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বমকে গ্রফতার করা হয়।তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।অভিযান অব্যাহত আছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।সার্বিক বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
এদিকে কেএনএফ দমনে সর্বাত্মক অভিযানে কঠোর অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এরই অংশ হিসেবে রুমা ও থানচি উপজেলায় চারটি এপিসি মোতায়েন করেছে জেলা পুলিশ।এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন,উপজেলাগুলোতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও বাড়ানো হবে।চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় এসব সাঁজোয়া যানগুলো রুমা-থানচি উপজেলায় ব্যবহার করা হবে।ধারনা করা হচ্ছে বাহিনীর সদস্যদের অভিযান সুরক্ষা নিশ্চিতে এমন অত্যাধুনিক এপিসি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।