বান্দরবানে গত কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বর্ষনের ফলে অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।এরই মধ্যে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এর নির্দেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় সাত উপজেলায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।ভারী বর্ষনে কর্মহীন হয়ে পরা মানুষদের পরিবারে এরই মধ্যে প্রভাব পরতে শুরু করেছে।তাই এসব মানুষ এর পরিবার পরিজনের জীবনমানের নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন বান্দরবান এর জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলে পরিবারের খোঁজ নিতে নিজেই ছুটে গেলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।এসময় তিনি মাথায় ছাতা নিয়ে ঘুরে ঘুরে জেলে পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নেন।তাৎক্ষণিক তিনি বান্দরবান পৌরসভা এলাকাস্থ ৩নং ওয়ার্ডের কালাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলে পাড়ার পঁচিশ পরিবারের সদস্যদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।শুকনো খাবারের প্রতিটি প্যাকেটে ছিলো ১০ কেজি চাল,১ কেজি ডাল,১ কেজি চিনি,২ কেজি চিঁড়া,১ কেজি লবণ,১ লিটার তেল,১/২ কেজি নুডলস।বান্দরবানের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.ছাইফুল্লাহ মজুমদার সিএইচটি টাইমস ডটকম কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.কায়েসুর রহমান বলেন,সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয় সার্বক্ষণিক সাত উপজেলার দুর্যোগ পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিচ্ছেন।জেলে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এরই একটি অংশবিশেষ।বান্দরবান জেলা প্রশাসন যেকোনও পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।পাহাড় ধ্বস এবং অন্য যেকোনও দুর্ঘটনা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন তৎপর বলেও জানান জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো.কায়েসুর রহমান।
উল্লেখ্য,শনিবার (১৮ জুন) জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এর নির্দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখায় একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।জেলা প্রশাসনের সংস্থাপন শাখা এর একটি অফিস আদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.ছাইফুল্লাহ মজুমদার কে এই কন্ট্রোল রুমের সার্বিক দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।রাতদিন ২৪ ঘন্টা জেলা প্রশাসনের ১৪ জন কর্মী এই কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করবেন এবং যেকোনও দুর্যোগ এর খবর পাওয়া মাত্র দায়িত্বশীল কর্মীরা যাতে সার্বিক দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে অবহিত করে সে বিষয়েও দেয়া হয়েছে নির্দেশনা।