জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতী শোক দিবস উপলক্ষে বান্দরবান জেলা শ্রমিকলীগ এর উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জেলা শহরের আর্মি পাড়া এলাকায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এসময় বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ এর সহসভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো.ইসলাম বেবী,জেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর,জেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ক্য সা প্রু,চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া,পৌর আওয়ামীলীগ এর সভাপতি অমল কান্তি দাশ,পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম,জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য খলিলুর রহমান সোহাগ, মো.মহিউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শ্রমিকলীগ এর সভাপতি মো.মুছা।জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক মো.রফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন।আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ক্য শৈ হ্লা বলেন,এদেশের শ্রমিক দের অধিকার নিশ্চিত করতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এর ভূমিকা ছিলো সবচেয়ে বেশি।জাতির পিতার দূরদর্শী চিন্তাভাবনার ফসল আজকের এই শ্রমিক লীগ।শ্রমিকদের স্বাধিকার রক্ষার্থেই ১৯৬৯ সালে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিক দের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার রক্ষায় নানা ধরনের সিদ্ধান্ত প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করেছেন।
তিনি বলেন,বাঙালি জাতীয়তাবাদ,ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিশ্চিত করতে বান্দরবান জেলাতেও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় বান্দরবান জেলা শ্রমিক লীগ কাজ করে যাচ্ছে।এসময় তিনি আরও,বান্দরবান জেলায় বীর বাহাদুর এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শ্রমিক লীগ এই জেলার গণমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।অগ্রযাত্রার এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি তে বিশ্বাস করেনা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,যদি প্রতিহিংসার রাজনীতি তে বিশ্বাস করতো তবে তাহলে এই জেলায় বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা হতো।ব্যবসা বানিজ্য থেকে শুরু করে চাকরি সহ নানা জায়গায় বৈষম্যের স্বীকার হতো।কিন্তু এখন বান্দরবান জেলাতে ওই রকম কোনও প্রভাব আওয়ামীলীগ প্রদর্শন করছে না।
এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন,একটি ক্ষুধা দুর্নীতি ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে জাতির পিতার যে লালিত স্বপ্ন ছিলো তা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়েছে। আসুন দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন নিশ্চিত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।