বান্দরবানে ছেলে ধরা গুজবে আতংক ছড়িয়ে পড়া ও বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটায় ছেলে ধরা গুজবে কান না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোঃজাকির হোসেন মজুমদার।আজ ২০ জুলাই শনিবার রাত ৭:৪০ মিনিটের সময় “এসপি বান্দরবান” নামক পুলিশ সুপার বান্দরবান এর সরকারী ফেসবুক পাতা থেকে বান্দরবান এর পুলিশ সুপার মোঃজাকির হোসেন মজুমদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এই স্ট্যাটাস আপলোড করেন।স্ট্যাটাসে তিনি বলেন,একটি জরুরী ঘোষনাঃ-“ছেলে ধরা গুজবে কান না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।ছেলে ধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনী বা গণধোলাই না দেয়ার জন্য বান্দরবান জেলার সর্বস্তরের জনগনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।এধরনের কাজ ফৌজদারী অপরাধ,কারও প্রতি সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি”।এসময় তিনি যেকোনও জরুরী প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে চালু থাকা গ্রামীণ ফোনের এই নাম্বারে ০১৭৬৯০৫৮২২৩ কল করার আহবান জানান।
এদিকে গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে আহবান জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।আজ শনিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় এই বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো.সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।এতে বলা হয়,গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সামিল এবং গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারি অপরাধ।ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো নিহতের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্তে নেমেছে।এসব ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।আরও বলা হয়,গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে সাথে সাথে পুলিশের হাতে তুলে দিন।
প্রসঙ্গত,বান্দরবান শহরের বালাঘাটা বাজারে গত শুক্রবার ছেলে ধরা সন্দেহে রোকেয়া আক্তার নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে জনতা গনপিটুনি দেয় এবং আজ শনিবার শহরের হাফেজঘোনা এলাকায় একই কারনে আরো এক নারীকে সন্দেহবশত মারধর করে স্থানীয়রা।পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার।এই দুই ঘটনায় বান্দরবান জেলা শহরে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়লে আতংকিত হয়ে পরেন অভিবাবক মহল।