জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লাল সবুজের বাংলাদেশ আজ তথাকথিত 'রুটির ঝুড়ি' থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে।সকল সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির এই ধারা বজায় রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যেতে বাংলাদেশের প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে "স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণঃ বঙ্গবন্ধু হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে দৃঢ় কন্ঠস্বরে এমনটাই বলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।এসময় জেলা প্রশাসক বলেন,১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ ২০১৮ সালে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির সব শর্ত পূরণ করে।সিডিপি তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে।মাথাপিছু আয়,মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার মতো তিনটি শর্ত পূরন করে বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে।২০২১ সালের নভেম্বর মাসে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদন পেয়েছে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি আরও বলেন,যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলাফলস্বরূপ বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে।কিন্তু ৭৫ এর কালো রাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালিয়েছিলো।কিন্তু জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি।দেশের পনেরো কোটি মানুষ এখন মোবাইল ব্যবহার করছে।ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে কোটি কোটি মানুষ।উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় বান্দরবান জেলাও কোনও অংশে পিছিয়ে নেই।রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একসময় নৌকায় চড়ে রুমা যেতে হতো আর এখন সড়কপথে রুমায় যাচ্ছি।কিছুদিন আগেই বান্দরবানের সুয়ালকে ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার ও ইনকিউবেশন সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে।থানচি বলিপাড়ার একজন তরুণ ফ্রিল্যান্সার এখন প্রতি মাসে ফ্রিল্যান্সিং করে বিশ থেকে তিরিশ হাজার টাকা আয় করছে।তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারভিত্তিক ঘোষণা ছিলো দেশের মানুষকে শতভাগ বিদ্যুৎ এর আওতায় আনা।পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ পেয়েছে।যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না সেসব এলাকায় ৪২হাজার সোলার প্যানেল বিতরণ করা হচ্ছে।কিছুদিন আগেই দেশের পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রুমার মুনলাই পাড়া গ্রামবাসী বিদ্যুৎ এর আলোয় আলোকিত হয়েছে।শুধু তাই নয়,দুর্গম নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ির ইউনিয়নের মানুষরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বিদ্যুৎ পেয়েছে।এককভাবে কোনও বিভাগ বা প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন,সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে প্রতিটি বিভাগ,প্রতিটি দপ্তর,সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি সংস্থা,সকল জনগোষ্ঠীর জনসাধারণ কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতে হবে।তাহলেই ক্যাবল জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন সত্যিকারের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে।আলোচনা সভায় বক্তব্যের শুরুতেই জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি,জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেন।পাশাপাশি তিনি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো.লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার (বিপিএম),বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো.ইসলাম বেবী।আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।যেখানে ১৯৭২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের নানা অর্জন,উন্নয়ন,অগ্রযাত্রার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা এর সঞ্চালনায় সম্প্রীতির মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.কায়েসুর রহমান,সিমন সরকার,মো.নাজমুল হাসান,প্রবীর বিশ্বাস,রাজীব কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে একইদিন সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি আনন্দ র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।পরে রঙ বেরঙের বেলুন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায় এ উপলক্ষে ইআরডি প্রেরিত ডকুমেন্টারি এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান বলেন,অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা তরান্বিত করার অংশ হিসেবে বান্দরবানের সম্মানিত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির নেতৃত্বে বান্দরবান জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।বিগত এক বছরে বান্দরবান জেলা প্রশাসন জনবান্ধব একটি জেলা প্রশাসন হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়েছে।সরকারের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত এবং বাস্তবায়ন দুটোই জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি'র দক্ষ দিকনির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.