বান্দরবানে দেওয়াল কিংবা গাছে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল।পরে ওই নম্বরে যোগাযোগের পর চুক্তি মোতাবেক টাকা পাঠালে নির্দিষ্ট পুকুর কিংবা জঙ্গলে মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাচ্ছে।গত একমাসে বান্দরবান সদর উপজেলা থেকে এভাবে অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবান সদরের দেওয়ানজি পুকুর থেকে চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন গাড়ির মালিক।আটকৃত আসামি বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থানার নয়া পতং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর সাথিমং তংঞ্চঙ্গ্যা ছেলে রাহুল তংঞ্চঙ্গ্যা।এই সময় তার কাছ থেকে ৭ টি সিম,৩ টি মোবাইল,২ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রায়হান কাজেমী,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশন আবদুল করিমসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অনেকে।
এসময় পুলিশ সুপার জানান,বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা লক্ষ্য করছি একটি সক্রিয় চোর চক্র বান্দরবানের বাসা বাড়ি সহ মোটরসাইকেল চুরি করছে।উল্লেখ্য যে বান্দরবান শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি করে দেয়ালে নম্বর লিখে যায় চোর চক্র।
গত এক সপ্তাহে শহরের মধ্যমপাড়া,মেম্বারপাড়া ও চেয়ারম্যানপাড়া থেকে ৮ টি মোটরসাইকেল চুরি করে নাম্বার দিয়ে যায় চক্রটি।হুমকি অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠালে বাড়ির পাশের পুকুর,জঙ্গল কিংবা ঝোপঝাড়ে মেলে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল।পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও সিটি ফুটেজের মাধ্যমে বান্দরবান পুলিশ টিমের সক্রিয় অভিযানে আমরা এই চক্রের সদস্যকে আটক করতে সমর্থ হয়েছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের চোর চক্রের বিরুদ্ধে বান্দরবান পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত থাকবে।